Dhaka ০২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে ইজারা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩০ Time View

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলাতে বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্ক এর ইজারা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন মেসার্স আরিফ হোসেন এর প্রোপাইটার মো. আরিফ হোসেন।

মো. আরিফ হোসেন এর আইনজীবী শেরপুর জেলা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট এম. কে. মুরাদুজ্জামান ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার বন বিভাগের ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম আব্দুল ওয়াদুদকে এ আইনি নোটিশ প্রদান করেছেন।

আইনি নোটিশে বলা হয়, গত ১২ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি নং-মববি- ০৩ অব ২০২৫-২৫ ইং মূলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, ময়মনসিংহ বন বিভাগ এর আওতাধীন পৃথক তিনটি গ্রুপে মধুটিলা ইকোপার্ক এর প্রবেশ গেইট, সাব গেইট ও পার্কিং এলাকা ইজারা এবং ইকোপার্কের ওয়াচ টাউয়ার, শিশু পার্কের প্রবেশ গেইট, পাবলিক টয়লেট, লেক বোট ও নৌকা চালানো, লেকে হুইলের সাহায্যে মৎস্য শিকার ইজারার দরপত্র আহবান করেন।

আমার মোয়াক্কেল যথারীতি আবশ্যকীয় নীতমালা অনুসরণ করে দরপত্র জমা দেন। একই সাথে আমার মোয়াক্কেল ছাড়াও আরও ২ টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেন।

উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি গ্রুপের জন্য আলাদা আলাদা খামে দরপত্র জমা দিতে হয় এবং খামের উপর সুনিদীষ্ট ভাবে সংশ্লিষ্ট গ্রুপের নাম উল্লেখ করতে হয়। প্রতিটি দরপত্রের সহিত উদ্ধৃত দরের ২৫% হারে বায়নার টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। কিন্তু মেসার্স মজিবর রহমান দুইটি দরপত্র একই খামে এবং দুইটি দরপত্রের উদ্ধৃত দরের উপর ২৫% হারে বায়নার টাকা পে অর্ডার প্রদান করে দুটি পে অর্ডার নম্বরই প্রতিটি দরপত্রে ব্যবহার করেন, যা ইজারা বিজ্ঞপ্তির নিয়ম বহির্ভূত।

দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ২ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমার মোয়াক্কেলের প্রতিষ্ঠান সঠিক ও সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়া স্বত্ত্বেও কি কারণে তাকে মনোনীত না করে ভুল দরপত্র প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মজিবর চৌধুরীর নামে মনোনীত করা হয়েছে তা জানতে চাইলে আপনি নিরুত্তর থাকেন।

প্রচলিত PPA-2006 এবং PPR-2008 এর নীতিমালা লংঘনপূর্বক সঠিক ও সর্বোচ্চ দরদাতার পরিবর্তে ভুল দরপত্র প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মজিবর চৌধুরী দরদাতাকে মনোনয়ন প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের স্বার্থ পরিপন্থী ও বেআইনী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমার মোয়াক্কেল মনে করেন।

এমতাবস্থায় অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে মেসার্স মজিবুর চৌধুরী নামক প্রতিষ্ঠান বরাবর প্রদত্ত NOA প্রত্যাহারপূর্বক আমার মোয়াক্কেল মেসার্স আরিফ হোসেন বরাবর NOA ও কার্যাদেশ প্রদানের জন্য আপনি নোটিশ গ্রহিতাকে এতদ্বারা বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় নোটিশে বর্ণিত মেয়াদান্তে যথাযথ আদালতে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য আমার মোয়াক্কেলকে পরামর্শ দেয়া হলো।

এবিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থতার কারণে আমি ছুটিতে আছি। এখন পর্যন্ত লিগ্যাল নোটিশের কপি পাইনি। ছুটি শেষে অফিসে গিয়ে দেখবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শেরপুরে ইজারা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ

Update Time : ০৬:২০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলাতে বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্ক এর ইজারা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন মেসার্স আরিফ হোসেন এর প্রোপাইটার মো. আরিফ হোসেন।

মো. আরিফ হোসেন এর আইনজীবী শেরপুর জেলা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট এম. কে. মুরাদুজ্জামান ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার বন বিভাগের ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম আব্দুল ওয়াদুদকে এ আইনি নোটিশ প্রদান করেছেন।

আইনি নোটিশে বলা হয়, গত ১২ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি নং-মববি- ০৩ অব ২০২৫-২৫ ইং মূলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, ময়মনসিংহ বন বিভাগ এর আওতাধীন পৃথক তিনটি গ্রুপে মধুটিলা ইকোপার্ক এর প্রবেশ গেইট, সাব গেইট ও পার্কিং এলাকা ইজারা এবং ইকোপার্কের ওয়াচ টাউয়ার, শিশু পার্কের প্রবেশ গেইট, পাবলিক টয়লেট, লেক বোট ও নৌকা চালানো, লেকে হুইলের সাহায্যে মৎস্য শিকার ইজারার দরপত্র আহবান করেন।

আমার মোয়াক্কেল যথারীতি আবশ্যকীয় নীতমালা অনুসরণ করে দরপত্র জমা দেন। একই সাথে আমার মোয়াক্কেল ছাড়াও আরও ২ টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেন।

উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি গ্রুপের জন্য আলাদা আলাদা খামে দরপত্র জমা দিতে হয় এবং খামের উপর সুনিদীষ্ট ভাবে সংশ্লিষ্ট গ্রুপের নাম উল্লেখ করতে হয়। প্রতিটি দরপত্রের সহিত উদ্ধৃত দরের ২৫% হারে বায়নার টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। কিন্তু মেসার্স মজিবর রহমান দুইটি দরপত্র একই খামে এবং দুইটি দরপত্রের উদ্ধৃত দরের উপর ২৫% হারে বায়নার টাকা পে অর্ডার প্রদান করে দুটি পে অর্ডার নম্বরই প্রতিটি দরপত্রে ব্যবহার করেন, যা ইজারা বিজ্ঞপ্তির নিয়ম বহির্ভূত।

দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ২ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমার মোয়াক্কেলের প্রতিষ্ঠান সঠিক ও সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়া স্বত্ত্বেও কি কারণে তাকে মনোনীত না করে ভুল দরপত্র প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মজিবর চৌধুরীর নামে মনোনীত করা হয়েছে তা জানতে চাইলে আপনি নিরুত্তর থাকেন।

প্রচলিত PPA-2006 এবং PPR-2008 এর নীতিমালা লংঘনপূর্বক সঠিক ও সর্বোচ্চ দরদাতার পরিবর্তে ভুল দরপত্র প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মজিবর চৌধুরী দরদাতাকে মনোনয়ন প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের স্বার্থ পরিপন্থী ও বেআইনী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমার মোয়াক্কেল মনে করেন।

এমতাবস্থায় অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে মেসার্স মজিবুর চৌধুরী নামক প্রতিষ্ঠান বরাবর প্রদত্ত NOA প্রত্যাহারপূর্বক আমার মোয়াক্কেল মেসার্স আরিফ হোসেন বরাবর NOA ও কার্যাদেশ প্রদানের জন্য আপনি নোটিশ গ্রহিতাকে এতদ্বারা বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় নোটিশে বর্ণিত মেয়াদান্তে যথাযথ আদালতে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য আমার মোয়াক্কেলকে পরামর্শ দেয়া হলো।

এবিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থতার কারণে আমি ছুটিতে আছি। এখন পর্যন্ত লিগ্যাল নোটিশের কপি পাইনি। ছুটি শেষে অফিসে গিয়ে দেখবো।