ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আওয়ামী লীগের পতন, ৩২ নাম্বার গুঁড়িয়ে দেওয়া সব রাজনৈতিক দলের জন্য শিক্ষা- এবি পার্টি’র সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ শেরপুরে আবুল হাসেমের ছেলে অর্থ আত্মসাৎ মামলার আসামী কামরুজ্জামান সুজন ও কামরুল হাসান গ্রেফতার শেরপুরে জাতীয় স্কুল ক্রিকেট: দ্বিতীয় জয়ে ফাইনালে পথে এগিয়ে আইডিয়াল প্রিপারেটরী এন্ড হাইস্কুল শেরপুরে দুই সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার শেরপুরে জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামগণের ‘ইমাম সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত শেরপুরে শিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শেরপুরের সীমান্তে প্রায় ৬ টন ভারতীয় চোরাই জিরা উদ্ধার শেরপুরের গাজীরখামার ইউনিয়ন পরিষদে নব-নিয়োগকৃত প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীসহ ৬ আসামি গ্রেফতার শেরপুরে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও রেইজ প্রকল্পের কার্যক্রম অবহিতকরণ সেমিনার

শেরপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার হার ৬৪%, এগিয়ে হাজং

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

শেরপুরে ২০ হাজার ৮৪০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। প্রত্যেক পরিবারে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ মানুষ বাস করে। এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শিক্ষিত। এর মধ্যে পুরুষ ৬৯ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং নারী ৫৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার হার হাজং জনগোষ্ঠীর। এ জনগোষ্ঠীর পুরুদের মধ্যে ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ এবং নারী ৬৮ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষিত। শেরপুর জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আর্থসামাজিক অবস্থা জরিপ ২০২৩-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। জরিপটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ সিদ্দিক, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হামিদুল হক এবং শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পটির পরিচালক ফারহানা সুলতানা। বক্তৃতা করেন বিবিএস-এর প্রভার্টি ফোকাল পয়েন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ, যার অনুরোধে এ জরিপটি করা হয় শেরপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক সাহেলা আকতার প্রমুখ। প্রশ্নোত্তর-পর্ব পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্মসচিব দীপঙ্কর রায়। ওইসময় শেরপুরের আরেক সাবেক জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেরপুরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের হার ১৫ থেকে বেশি বছর বয়সের মানুষের মধ্যে ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে ঝিনাইগাতী উজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং নারী ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ। নকলা উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং নারী ২০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলায় পুরুষ ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং নারী ২৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় পুরুষ ৭৬ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং নারী ১৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। শ্রীবরদী উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত রয়েছেন পুরুষ ৭৪ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং নারী ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে বেকার হার তিন দশমিক ৮০ শতাংশ। ঝিনাইগাতী উপজেলায় বেকার পুরুষ তিন দশমিক শূন্য দুই শতাংশ এবং নারী তিন দশমিক ৪৬ শতাংশ। নকলা উপজেলায় পুরুষ বেকার চার দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং নারী তিন দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। নালিতাবাড়ী উপজেলায় পুরুষ বেকার তিন দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী চার দশমিক ৬১ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় বেকার পুরুষ চার দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং নারী সাত দশমিক ১০ শতাংশ। শ্রীবরদী উপজেলায় বেকার পুরুষদের মধ্যে দুই দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং নারী তিন দশমিক ৮৪ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিবন্ধীর হার এক দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নালিতাবাড়ীতে দুই দশমিক ৫১ শতাংশ ও সবচেয়ে কম শেরপুর সদরে এক দশমিক ১৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষের মধ্যে বাংলায় কথা বলে ৪২ দশমিক ২৫ শতাংশ। দ্বিতীয় গারো ভাষায় কথা বলে ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে কোচ ভাষায় ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের মধ্যে ৩৬ দশমিক ৯১ শতাংশ মানুষ ভাত ও মাছ খায়। নাগারাই খায় শূন্য দশমিক ২০, সিংজু শূন্য দশমিক ২২, সিনজিডা শূন্য দশমিক ১৪, নামপি শূন্য দশমিক ৭৭, শামুক ১৪ দশমিক ১৬, কাঁকড়া ১৭ দশমিক ৫৬, কচ্ছব ৯ দশমিক ২৭, কুচিয়া ১৯ দশমিক ৭২ এবং অন্য খাবার খায় ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
এছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এ পূজা পালন করেন ৩৬ দশমিক শূন্য চার শতাংশ মানুষ। দ্বিতীয় অবস্থানে ক্রিসমাস ডে বা বড়দিন পালন করেন ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষ। তৃতীয় অবস্থানে ওয়ানগালা উৎসব পালন করেন ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ মানুষ।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগের পতন, ৩২ নাম্বার গুঁড়িয়ে দেওয়া সব রাজনৈতিক দলের জন্য শিক্ষা- এবি পার্টি’র সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ

শেরপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার হার ৬৪%, এগিয়ে হাজং

আপডেট সময় : ১০:৩৩:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

শেরপুরে ২০ হাজার ৮৪০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। প্রত্যেক পরিবারে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ মানুষ বাস করে। এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শিক্ষিত। এর মধ্যে পুরুষ ৬৯ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং নারী ৫৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার হার হাজং জনগোষ্ঠীর। এ জনগোষ্ঠীর পুরুদের মধ্যে ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ এবং নারী ৬৮ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষিত। শেরপুর জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আর্থসামাজিক অবস্থা জরিপ ২০২৩-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। জরিপটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ সিদ্দিক, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হামিদুল হক এবং শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পটির পরিচালক ফারহানা সুলতানা। বক্তৃতা করেন বিবিএস-এর প্রভার্টি ফোকাল পয়েন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ, যার অনুরোধে এ জরিপটি করা হয় শেরপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক সাহেলা আকতার প্রমুখ। প্রশ্নোত্তর-পর্ব পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্মসচিব দীপঙ্কর রায়। ওইসময় শেরপুরের আরেক সাবেক জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেরপুরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের হার ১৫ থেকে বেশি বছর বয়সের মানুষের মধ্যে ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে ঝিনাইগাতী উজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং নারী ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ। নকলা উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং নারী ২০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলায় পুরুষ ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং নারী ২৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় পুরুষ ৭৬ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং নারী ১৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। শ্রীবরদী উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত রয়েছেন পুরুষ ৭৪ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং নারী ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে বেকার হার তিন দশমিক ৮০ শতাংশ। ঝিনাইগাতী উপজেলায় বেকার পুরুষ তিন দশমিক শূন্য দুই শতাংশ এবং নারী তিন দশমিক ৪৬ শতাংশ। নকলা উপজেলায় পুরুষ বেকার চার দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং নারী তিন দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। নালিতাবাড়ী উপজেলায় পুরুষ বেকার তিন দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী চার দশমিক ৬১ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় বেকার পুরুষ চার দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং নারী সাত দশমিক ১০ শতাংশ। শ্রীবরদী উপজেলায় বেকার পুরুষদের মধ্যে দুই দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং নারী তিন দশমিক ৮৪ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিবন্ধীর হার এক দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নালিতাবাড়ীতে দুই দশমিক ৫১ শতাংশ ও সবচেয়ে কম শেরপুর সদরে এক দশমিক ১৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষের মধ্যে বাংলায় কথা বলে ৪২ দশমিক ২৫ শতাংশ। দ্বিতীয় গারো ভাষায় কথা বলে ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে কোচ ভাষায় ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের মধ্যে ৩৬ দশমিক ৯১ শতাংশ মানুষ ভাত ও মাছ খায়। নাগারাই খায় শূন্য দশমিক ২০, সিংজু শূন্য দশমিক ২২, সিনজিডা শূন্য দশমিক ১৪, নামপি শূন্য দশমিক ৭৭, শামুক ১৪ দশমিক ১৬, কাঁকড়া ১৭ দশমিক ৫৬, কচ্ছব ৯ দশমিক ২৭, কুচিয়া ১৯ দশমিক ৭২ এবং অন্য খাবার খায় ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
এছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এ পূজা পালন করেন ৩৬ দশমিক শূন্য চার শতাংশ মানুষ। দ্বিতীয় অবস্থানে ক্রিসমাস ডে বা বড়দিন পালন করেন ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষ। তৃতীয় অবস্থানে ওয়ানগালা উৎসব পালন করেন ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ মানুষ।