শেরপুরে গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের আয়োজনে ডিসি উদ্যানে ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’ এ শেরপুরের ৩৩ জন কবি-সাহিত্যিকের লেখা বই প্রদান করা হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে শেরপুরে সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’ এর অস্থায়ী লাইব্রেরীতে এসব বই বিতরণ করা হয়।
গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক রফিক মজিদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেরপুরের বিশিষ্ট লেখক জ্যোতি পোদ্দার ও শেরপুর সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি রাহাতুল ইসলাম আলো।
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি কবি রাবিউল ইসলাম, কবি হাসান শরাফত, কবি এমএইচ মুকুল, কবি খালিদুর রহমান, সাংবাদিক কাজী মাসুম, সাংবাদিক শফিউল আলম সম্রাট, শেরপুর সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি সাদিকা তাবাসসুম, মোঃ জয়নাল আবেদীন জয়, সাবিনা ইয়াসমিন, ইয়ামনি প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, শেরপুরের ডিসি উদ্যানে শহরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বেড়াতে আসে। এ সময় কাগজের বই বিমুখ যুবসমাজের হাতে বই তুলে দেওয়া এবং তাদেরকে একটানা ইন্টারনেটে থেকে নেতিবাচক প্রভাবমুক্ত করতে উন্মুক্ত স্থানে বই পড়ার পাঠভ্যাস করার উদ্দেশ্যে ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’ নামে উন্মুক্ত লাইব্রেরী করা হয়েছে। এই লাইব্রেরী থেকে প্রতি শুক্র ও শনিবার বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত ডিসি উদ্যানে বেড়াতে আসা শিক্ষার্থী সহ অন্যান্য পেশার মানুষ বই সংগ্রহ করে পড়তে পারে। ইতিমধ্যে এই লাইব্রেরীতে প্রায় ৪ শতাধিক বই সংগ্রহ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুর গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের আয়োজনে ৩৩ জন শেরপুরের লেখক এর লেখা বই প্রদান করা হয়। যাতে করে বই পড়ুয়া মানুষ জাতীয় পর্যায়ের লেখকদের পাশাপাশি শেরপুরের লেখকদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং শেরপুরে লেখকদের পরিচিতি লাভও করবে।
এ বিষয়ে গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক রফিক মজিদ বলেন, আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন লাইব্রেরীতে শেরপুরে লেখকদের বই সরবরাহক করেছি। থাইল্যান্ড বুক রিডিং এর মত ব্যতিক্রমী আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে আজকেও আমরা কিছু বই প্রদান করলাম। আগামী দিনেও আমাদের সংগঠন তথা শেরপুরের লেখকদের নতুন বই প্রকাশিত হলে সেসব বই দেওয়া হবে।
শেরপুর সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি রাহাতুল ইসলাম আলো জানায়, আমরা শহরের বিভিন্ন পার্ক গুলোতে অযথা আড্ডা এবং নেতিবাচক আড্ডা থেকে তরুণ সমাজকে ফিরিয়ে আনতে এই কাগজের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি লক্ষ্যে এই :সাইলেন্ট বুক রিডিং’ গঠন করেছি। শুরুতে শহরের ডিসি উদ্যানে এক মাস যাবত সপ্তাহে দুই দিন এই ডিসি উদ্যানে ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’ স্থাপন করলেও আগামীতে শহরের বিভিন্ন পার্কে পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে।