Dhaka ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে বিএনপিকে সু-সংঘটিত করতে বিএনপির তিন নেতাসহ অন্যান্য ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা দরকার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৭ Time View

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্বচ্ছ দলীয় কর্মকান্ড আরো সু-সংঘঠিত করতে শেরপুরে বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বিএসসি, এটিএম আমীর হোসেন, মোঃ সাইফুল ইসলাম মোহনসহ অন্যান্য ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা এখনই সময়।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেরপুর জেলা বিএনপিসহ সকল অঙ্গ দলকে চাঙ্গা করতে হলে ত্যাগী নেতাকর্মীদের এখন থেকেই মূল্যায়িত করা প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে এক সময়ের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বিএসসি তিনি রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭৭ সালে জাগোদল, ১৯৭৮ সালে শেরপুর শহর বিএনপির আহ্বায়ক, পরবর্তীতে শেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি, চারদলীয় ঐক্য জোট শেরপুর জেলা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এবং শেরপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট শেরপুর জেলা ইউনিটের সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত থাকাবস্থায় গণমানুষের নেতা হয়েছেন আব্দুল সালাম বিএসসি।

এদিকে আরেক ত্যাগী ও অবহেলিত বিএনপি নেতা এটিএম আমীর হোসেন ১৯৭৮ সালে শেরপুর জেলা জাগো যুবদলের আহ্বায়ক হিসেবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে শেরপুর জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন, পরবর্তীতে শেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক, শেরপুর শহর বিএনপির সভাপতি, জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এবং সর্বশেষ তিনি জেলা বিএনপির উপদেষ্টা। এছাড়াও এটিএম আমীর হোসেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।

অপরদিকে আরেক ত্যাগী বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম মোহন তার রাজনীতি শুরু করেন জাতীয়তাবাদী চেতনার মধ্যে দিয়ে বর্ণাঢ্য রাজনীতি শুরু করেন। রাজনীতির শুরুতে জাগো যুব ফ্রন্ট ও পরে না পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সেই দলের অঙ্গদল যুবদলের নেতৃত্বে আসেন।
এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, পরে জেলা বিএনপি সাংষ্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও এই নেতা রাজনৈতিক কর্মকান্ড ছাড়াও সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। শেরপুর জেলায় বিএনপির রাজনীতিকে আরো সু-সংঘঠিত করতে হলে এই তিন ত্যাগীনেতাসহ অন্যান্য ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা জরুরী দরকার এবং সেই জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবের পর কতিপয় অসৎ নেতাকর্মী দলের ভারমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। তবে এক্ষেত্রে দল গোছাতে হলে এখনই হাই কমান্ডের শুদ্ধি অভিযান করতে হবে তাহলেই দলমত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণ শেরপুর বিএনপির প্রতি আস্থা রাখবে। এক সময়ের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ় কণ্ঠে বলেছিল রাজনীতি শিখতে হলে শেরপুরে যাও। তাই দলের এই ক্রান্তিলগ্নে মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বিএসসি, এটিএম আমীর হোসেন ও মোঃ সাইফুল ইসলাম মোহনসহ ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা দরকার বলে এমনটাই মনে করেন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শেরপুরে বিএনপিকে সু-সংঘটিত করতে বিএনপির তিন নেতাসহ অন্যান্য ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা দরকার

Update Time : ০৫:১২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্বচ্ছ দলীয় কর্মকান্ড আরো সু-সংঘঠিত করতে শেরপুরে বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বিএসসি, এটিএম আমীর হোসেন, মোঃ সাইফুল ইসলাম মোহনসহ অন্যান্য ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা এখনই সময়।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেরপুর জেলা বিএনপিসহ সকল অঙ্গ দলকে চাঙ্গা করতে হলে ত্যাগী নেতাকর্মীদের এখন থেকেই মূল্যায়িত করা প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে এক সময়ের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বিএসসি তিনি রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭৭ সালে জাগোদল, ১৯৭৮ সালে শেরপুর শহর বিএনপির আহ্বায়ক, পরবর্তীতে শেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি, চারদলীয় ঐক্য জোট শেরপুর জেলা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এবং শেরপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট শেরপুর জেলা ইউনিটের সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত থাকাবস্থায় গণমানুষের নেতা হয়েছেন আব্দুল সালাম বিএসসি।

এদিকে আরেক ত্যাগী ও অবহেলিত বিএনপি নেতা এটিএম আমীর হোসেন ১৯৭৮ সালে শেরপুর জেলা জাগো যুবদলের আহ্বায়ক হিসেবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে শেরপুর জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন, পরবর্তীতে শেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক, শেরপুর শহর বিএনপির সভাপতি, জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এবং সর্বশেষ তিনি জেলা বিএনপির উপদেষ্টা। এছাড়াও এটিএম আমীর হোসেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।

অপরদিকে আরেক ত্যাগী বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম মোহন তার রাজনীতি শুরু করেন জাতীয়তাবাদী চেতনার মধ্যে দিয়ে বর্ণাঢ্য রাজনীতি শুরু করেন। রাজনীতির শুরুতে জাগো যুব ফ্রন্ট ও পরে না পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সেই দলের অঙ্গদল যুবদলের নেতৃত্বে আসেন।
এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, পরে জেলা বিএনপি সাংষ্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও এই নেতা রাজনৈতিক কর্মকান্ড ছাড়াও সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। শেরপুর জেলায় বিএনপির রাজনীতিকে আরো সু-সংঘঠিত করতে হলে এই তিন ত্যাগীনেতাসহ অন্যান্য ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা জরুরী দরকার এবং সেই জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবের পর কতিপয় অসৎ নেতাকর্মী দলের ভারমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। তবে এক্ষেত্রে দল গোছাতে হলে এখনই হাই কমান্ডের শুদ্ধি অভিযান করতে হবে তাহলেই দলমত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণ শেরপুর বিএনপির প্রতি আস্থা রাখবে। এক সময়ের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ় কণ্ঠে বলেছিল রাজনীতি শিখতে হলে শেরপুরে যাও। তাই দলের এই ক্রান্তিলগ্নে মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বিএসসি, এটিএম আমীর হোসেন ও মোঃ সাইফুল ইসলাম মোহনসহ ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা দরকার বলে এমনটাই মনে করেন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা।