শেরপুরে দ্রব্যমুল্য স্থিতিশীল ও মজুদদারি প্রতিরোধকল্পে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে শহরের নয়ানি বাজারে এক অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন এবং ২০১০ সালের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ আইনে ৩ ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব ব্যবসায়ীরা হলেন-পাইকারী ব্যবসাীয় মাসুদ মিয়াকে ১০ হাজার টাকা মুদি দোকানদার লিপন সরকারকে ৩ হাজার টাকা এবং সয়াবিন তেল ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান মিয়াকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা বাজার মনিটরিং টিমের কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ রাজীব উল-আহসান। এছাড়াও টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা আফসানা, শেরপুর সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. ওয়ালিফা জাহান, শেরপুর পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর শাহজাদা খাঁন, ক্যাব শেরপুর জেরা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল। এছাড়াও শেরপুর সদর থানার একটি পুলিশ দল এবং কাক্টেরেট জিএম শাখার সাপোর্ট স্টাফরা বাজার মনিটরিং টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। মনিটরিংকালে আইন লংঘনের দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা ছাড়াও বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চা-ডাল, তেল. লবন, চিনি, ছোলা, আলু, পেয়াজ, আদা, ভোগ্যপণ্য, মশলা, কাঁচাবাজার ও ফলমুলের চলমান বাজার দর পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং ব্যবসায়ীদের মজুদ পরিস্থিতিও যাচাই করা হয়। সেইসাথে ক্রয়রশিদ ও দর্শনীয়স্থানে মুল্য তালিকা টানানো সহ যৌক্তিক লাভ বিবেচনায় সহনীয় মূল্যে দ্রব্যমুল্য বিক্রীর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।