Dhaka ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে আড়াই মাসের শিশুকে চুরি করে বিক্রি, ৩ দিন পর উদ্ধার

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩২ Time View

শেরপুরে আড়াই মাসের এক শিশু চুরি করে বিক্রি হওয়ার তিন দিন পর বুধবার ভোররাতে টাঙ্গাইল জেলা সদর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় শিশু চুরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের ৪ সদস্যের মধ্যে ১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপর ৩ জন পলাতক রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত সদস্য সদর উপজেলার লছমনপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর স্ত্রী জরিনা (৪৮)। অপর পলাতক ৩ সদস্য হচ্ছেন- জরিনার মেয়ে সাবিনা (২৮), সদর উপজেলার কামারেরচর গ্রামের সুলতান মিয়া (৪৫) ও টাংগাইল সদরের এমদাদুল হকের স্ত্রী সানোয়ারা খানম (৩০)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নকলা উপজেলার কুলাদি গ্রামের তানিয়া আক্তার ও লতিফুর রহমান দম্পতির আড়াই মাসের কন্যাশিশু লাবিবাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে শেরপুর শহরের বটতলা এলাকার নিরাপদ ক্লিনিকে। ওই ক্লিনিকে পূর্ব পরিচিত শিশু চোর চক্রের সদস্য জরিনা শিশুটির মাকে বোকা বানিয়ে তার মেয়ে সাবিনার সহায়তায় শিশুটিকে চুরি করে টাঙ্গাইল জেলা সদরের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

ঘটনার পর অভিযোগ পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুবায়দুল আলম মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদকে দিয়ে অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলা সদরের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতারকৃত আসামির স্বীকারোক্তিতে শিশু লাবিবাকে উদ্ধার করে।

এঘটনায় শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওসি মোহাম্মদ জুবায়দুল আলম জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শেরপুরে আড়াই মাসের শিশুকে চুরি করে বিক্রি, ৩ দিন পর উদ্ধার

Update Time : ১১:৫৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শেরপুরে আড়াই মাসের এক শিশু চুরি করে বিক্রি হওয়ার তিন দিন পর বুধবার ভোররাতে টাঙ্গাইল জেলা সদর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় শিশু চুরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের ৪ সদস্যের মধ্যে ১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপর ৩ জন পলাতক রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত সদস্য সদর উপজেলার লছমনপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর স্ত্রী জরিনা (৪৮)। অপর পলাতক ৩ সদস্য হচ্ছেন- জরিনার মেয়ে সাবিনা (২৮), সদর উপজেলার কামারেরচর গ্রামের সুলতান মিয়া (৪৫) ও টাংগাইল সদরের এমদাদুল হকের স্ত্রী সানোয়ারা খানম (৩০)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নকলা উপজেলার কুলাদি গ্রামের তানিয়া আক্তার ও লতিফুর রহমান দম্পতির আড়াই মাসের কন্যাশিশু লাবিবাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে শেরপুর শহরের বটতলা এলাকার নিরাপদ ক্লিনিকে। ওই ক্লিনিকে পূর্ব পরিচিত শিশু চোর চক্রের সদস্য জরিনা শিশুটির মাকে বোকা বানিয়ে তার মেয়ে সাবিনার সহায়তায় শিশুটিকে চুরি করে টাঙ্গাইল জেলা সদরের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

ঘটনার পর অভিযোগ পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুবায়দুল আলম মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদকে দিয়ে অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলা সদরের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতারকৃত আসামির স্বীকারোক্তিতে শিশু লাবিবাকে উদ্ধার করে।

এঘটনায় শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওসি মোহাম্মদ জুবায়দুল আলম জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।