শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার তারাকান্দা বাজারে মোঃ ছফির উদ্দিন (৩৫) এক ভূয়া জমিদাতা বানিয়ে ৪শতক জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মোঃ শরিফ উদ্দিন আকন্দ।
৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার দিকে নকলা উপজেলার তারাকান্দা বাজারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন ভুক্তভোগী মোঃ শরীফ উদ্দিন আকন্দ। এসময় তিনি বলেন, নকলা উপজেলার বিমলদী তারাকান্দা মৌজার চার রাস্তা মোড়ে রেকর্ডীয় মালিক আব্দুল মজিদের ছেলে হায়দার আলীর কাছ থেকে তারাকান্দা মৌজার ৮৫ নং দাগে ৯৩ শতক জমির কাতে ২৩ শতক জমি ক্রয় করে তাহাতে কয়েকটি হাফ বিল্ডিং ঘর উঠিয়ে ভাড়া দেই। কিছু দিন পর আমার কিডনি বিকল হলে তাহা প্রতিস্থাপনের জন্য ১৯ শতক জমি ঘর সহ বিক্রি করি বাকি ৪ শতক জমিতে একটি হাফ বিল্ডিং রুম সহ ভাড়া দেওয়া থাকে। আমি আমার চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়াতে থাকা অবস্থায় ওই এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেল ছফির উদ্দিন এক ভূয়া জমিদাতা বানিয়ে ৪শতক জমি তার নামে রেজিস্ট্রি করে নেন। জাল রেজিস্ট্রি করার পর আমার ভাড়াটিয়া জিল্লুর রহমানসহ ২ জন ভাড়াটিয়াকে মধ্য রাতে দোকান থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয় মোঃ ছফির উদ্দিন গংরা। এতেও ক্ষান্ত হননি মোঃ ছফির উদ্দিন। এছাড়াও তিনি জোড়পূর্বকভাবে মোঃ শরিফ উদ্দিন আকন্দ এর হাফ বিল্ডিং ও দোকান মার্কেটের রুম দখল করে। এবং আমি আমার ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে মোঃ ছফির উদ্দিন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। মোঃ ছফির উদ্দিন একজন আওয়ামী লীগ নেতা ও সন্ত্রাসী বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ শরিফ উদ্দিন আকন্দ।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন অসুস্থ মানুষ, আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করি আমার জমির কাগজ-পত্রাদি দেখে আমার স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার একটা সমাধানের ব্যবস্থা করে দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা করে তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুল আহমেদসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।