অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক প্রথম সংবাদ পত্রিকায় “নালিতাবাড়ীতে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন” প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। রাজনগর রহমানিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল কাদের এর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনের সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট। স্থানীয় কুচক্রী মহল এদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম, নাজমুল হাসান সম্রাট, মোঃ সোহারাব আলী, মোঃ সুরুজ আলী, হাদিউল ইসলাম, তারেক, নজরুল ইসলাম বাচ্চু, হাজী আবদুস সালাম, আবদুল করিম, মোঃ নুরুল ইসলাম, রেজাউল করিম ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবদুল মান্নানসহ এলাকার নোংরা প্রকৃতির লোক আমাকে হেয়পতিপন্ন করতে এবং সমাজে আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। এছাড়াও মাদরাসার তিনজন কর্মচারী নিয়োগের ব্যাপারে আমাকে জড়িয়ে ঘুষ বাণিজ্যের কথা বলা হয়েছে। পূর্বের কমিটি তিনজন কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়ে গেছেন। এব্যাপারে আমার কোন দায়বদ্ধতা নেই। আমি শুধু স্বাক্ষর করেছি মাত্র। মাদরাসার জমি এগ্রিমেন্টের ব্যাপারে যে কথা বলা হয়েছে তা আদৌসত্য না। জমি এগ্রিমেন্টের টাকা দিয়ে পূর্বের কমিটি মাদরাসার অবকাঠামো উন্নয়ন ও মাঠে মাটি ভরাটের কাজ করে গেছেন। উল্লেখিত সংবাদে মাদরাসার ২২ একর জমির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে মাদরাসার জমি ১৯ একর ৫০ শতক। মাদরাসার সকল কাজ কমিটিকে অবহিত করে এবং সকলের সর্বসম্মতিক্রমে করা হয়েছে। আমি অত্র মাদ্রাসায় ১২ বৎসর যাবৎ প্রভাষক, ৭ বৎসর যাবৎ উপাধ্যক্ষ এবং ১৩ বৎসর যাবৎ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছি আর মাত্র ২ বৎসর আমার চাকরির সময়কাল রহিয়াছে। এমতাবস্থায় আমার দ্বারা মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কমিটির কারো সাথে কোন প্রকার বিরাগভাজন হয়নি। বর্তমানে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটায় এবং স্বার্থ পূরণে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় কুচক্রী মহল মানববন্ধন করিয়াছে। অত্র মাদরাসায় আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার মত কোন ঘটনা ঘটে নাই। সুতরাং আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাই আমি প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নিবেদক
মোঃ আবদুল কাদের
অধ্যক্ষ
রাজনগর রহমানিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসা
নালিতাবাড়ী, শেরপুর।
শেরপুর প্রতিনিধি: 








