শেরপুরে খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বরাদ্দকৃত ৩ হাজার ৮৪০ কেজি সরকারি চাল ব্যক্তি মালিকানা রাইস মিলের গুদাম থেকে জব্দ করেছে যৌথবাহিনী। ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পৌর শহরের নবীনগর এলাকার মেসার্স ওয়াজকুরুনী রাইস মিলের গুদামে ওই অভিযান চলে। অভিযানকালে রাইস মিল গুদামের পরিচালক এনামুল হককে আটক করা হয়। এদিকে অসহায়দের জন্য বিতরণকৃত সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বিপুল পরিমাণ চাল জব্দের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করেছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম চাল জব্দের সত্যতা নিশ্চিত করে বুধবার দুপুরে জানান, সরকারি চাল জব্দের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কিভাবে, কারা এই সরকারি সম্পদ গুদামে নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত হতে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেরপুর পৌর শহরের মেসার্স ওয়াজকুরুনী রাইস মিলের গুদামে অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী। এসময় রাইস মিলের ভিতরে ইজিবাইকে রাখা খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত পাটের ১২ বস্তা ও প্লাস্টিকের ৮টি বস্তাভর্তি চাল জব্দ করা হয়। আর গুদামের ভিতরে রাখা খোলা চাউলগুলো নতুন মোড়কে ভর্তি করা হচ্ছিল। সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৮৪০ কেজি চাল জব্দ করা হয়। তবে অভিযানের আগেই ইজিবাইক দুটির চালক পালিয়ে যায়।
শেরপুরের খাদ্য বিভাগের কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক মানোয়ার হোসেন জানান, আমরা প্রাথমিক পরীক্ষা করে প্রমাণ পেয়েছি, গুদামের চালগুলো গরিবের জন্য বরাদ্দ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাউল।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, সরেজমিনে গিয়ে চালগুলো আমরা দেখেছি। এগুলো খাদ্য অধিদপ্তরের গরিবের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। এসব চাল বাইরে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : 









