শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বাদাপাড়া গ্রামে রোববার (২৩ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে বশত ঘরের নিজ শয়ন কক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আমিনুল ইসলাম (২৬) নামে এক যুবক গলায় গামছা পেচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আমিনুল ইসলাম সদর উপজেলার পাকুড়িয়া বাদাপাড়া গ্রামের জনৈক মোঃ আঃ হালিমের ছেলে। সে ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছিল।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পাকুড়িয়া বাদাপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম মাস্টার্স শিক্ষার্থী অবস্থায় প্রায় ৪/৫ মাস পূর্বে বিয়ে করেন। জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম পরিবারিক এবং মানসিকভাবে সমস্যায় ভুগছিল। রোববার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবার অজান্তে আমিনুল ইসলাম বশত ঘরের নিজ শয়ন কক্ষের ধর্নার সাথে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। এর আগে রোববার দুপুরে আমিনুল তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টে লিখেন, ‘আমি আমার সঠিক মস্তিষ্কে লিখে জাচ্ছি যে, আজ আমার মৃতুর জন্য কেও দায়ী নয়। এই বিষয়টা নিয়ে যেন কারো প্রতি কোন প্রকার চার্য না করা হয় এবং কাওকে দায়ী না করে হয়। আমিনুল ইসলাম। (হুবহু স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো)। তার আগে দুপুর ২টা ৮ মিনিটে পোস্ট দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘ঝুলে গেলে মানুষ মরে যায়, নাকি বেচে যায়?’
এদিকে পরিবারের লোকজন ঘরে কোন সারা শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আমিনুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দেয়। এসময় প্রতিবেশী লোকজন তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমিনুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ হায়দার আলী আত্মহত্যার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এব্যাপারে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানান, নিহতের লাশ জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামিদুর রহমান/দেশবার্তা