শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গণইমমিনা কান্দা গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১৪) কে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেছে একই গ্রামের লম্পট ধর্ষক মো. আলমগীর হোসেন (২০)।
ধর্ষণকারী আলমগীর হোসেন সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গণইমমিনা কান্দা গ্রামের মৃত নজু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও ধর্ষিতা শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গণইমমিনা কান্দা শহীদ মোতালেব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে তাদের বাড়ি থেকে তার এক বান্ধবীর বাড়ি যাবার সময় ধর্ষক মো. আলমগীর হোসেনদের বাড়ি সংলগ্ন সড়কে পৌছামাত্র তাকে কৌশলে আলমগীর হোসেন তার বশতঘরে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এদিকে ধর্ষণ করার পর থেকেই আলমগীর হোসেন পলাতক থাকে। পরে ধর্ষিতা শিক্ষার্থী বিষয়টি তার বাবা মা’কে জানালে তার বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক আলমগীর হোসেনকে আসামী করে শেরপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামারুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ছনকান্দ গ্রামের জনৈক রাসেলের বশত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পলাতক ধর্ষক আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। পরে তাকে ওই দিন দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে সদর থানার পুলিশ। ধর্ষিতা শিক্ষার্থীর ডাক্তারী পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দীর জন্য আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
হামিদুর/দেশবার্তা