শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১০) গণধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ময়দান আলী (৬০) নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে নালিতাবাড়ী থানার পুলিশ। ৬ আগস্ট রোববার রাতে তাকে গ্রেফতারের পর সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২ আগস্ট ভুক্তভোগীর শিশুর নানী বাদী হয়ে উপজেলার মরিচপুরান গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে ময়দান আলী, ভুট্টু মিয়ার ছেলে অন্তর মিয়া (২৪) ও সাদিকুর রহমানের ছেলে মুনায়েম (২৩) সহ ৩ জনকে আসামি করে শেরপুরের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই দুপুরে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই শিক্ষার্থীকে উপজেলার মরিচপুরান গ্রামের নিজ বসতঘরে ডেকে নেয় ময়দান আলী। তখন ওই ঘরে অন্তর ও মুনায়েম অবস্থান করছিলো। পরে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীর জামা, পায়জামা খুলে ফেলে তারা। পরে ওই শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ময়দান আলী ও অন্তর ধর্ষণ করে এবং মুনায়েম মোবাইলে ভিডিও ধারন করে৷
একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান হারালে অভিযুক্তরা মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করে তুলে। পরে এ ঘটনার কথা কাউকে জানালে খুন করার হুমকি দিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয়।
এদিকে ধর্ষণের সময় ধারন করা ভিডিও এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে পরিবারের লোকজন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ঘটনা জেনে গত ২ আগস্ট ভুক্তভোগীর নানী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
ভুক্তভোগীর শিশুর নানী বলেন, মেয়েটির পিতা নেই, আমি দেখাশুনা করছি। স্কুল থেকে ফেরার পথে ময়দান, অন্তর আর মুনায়েম আমার অবুঝ নাতির সর্বনাশ করছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই ৷
এব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ওই ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে রোববার থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে ময়দান আলী নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আমিরুল ইসলাম/দেশবার্তা