“বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ দেওয়া কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আগামী বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ পর্যায়ের ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে ৭ আগস্ট সোমবার বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে নবাগত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম-এর সভাপতিত্বে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা বিনির্মাণে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনসহ দেশে প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত করা। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিতকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তা বাস্তবায়ন করছে। এরই অংশ হিসেবে শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আর্থিক সহযোগিতায় ১ম, ২য়, ৩য় পর্যায়ে ৭৯৭টি এবং ৪র্থ পর্যায়ে ৯১৯টিসহ সর্বমোট ১৭১৬টি একক গৃহের বরাদ্দ পাওয়া যায় এবং গুচ্ছগ্রাম ও অন্যান্য উপায়ে ১৫৪টিসহ মোট ১৮০৭টি ভূমিহীন, গৃহহীন ও আশ্রয়হীন তৃণমূল ও প্রান্তিক পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১৫৮১টি গৃহের উদ্বোধন করা হয়েছে এবং নকলা, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এবার শেরপুর সদরে ১০২টি ও শ্রীবরদীতে ৩৩টি ঘর নির্মাণ এবং হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই ২টি উপজেলাকেও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা এবং উপকারভোগীর কাছে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্য দিয়ে শেরপুর জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, সরকারের এমন মানবিক উদ্যোগকে সফল ও স্বার্থক করতে জেলার সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মনিরুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহনাজ ফেরদৌস, প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলা আধার, সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন ও সাবিহা জামান শাপলা, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিম বাবুল, দেবাশীষ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এছাড়াও প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর/দেশবার্তা