শেরপুর জেলার সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের গাজীরখামার কান্দা পাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গোষ্ঠীর প্রতিপক্ষ মো. মোশারফ ওরফে খাইজার ছেলে মো. জসিম (৩০), মৃত ইয়ানুছ আলীর ছেলে মো. আঃ জলিল (৩৫), মো. উপাল মিয়া (৪০), মো. রানা মিয়া (৪২), মো. মোশারফ ওরফে খাইজা (৪৫) দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জীত হয়ে গত ২ জুলাই রোববার দুপুর ১২ টার দিকে মামলার বাদী মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. রফিকুল ইসলামের বশত বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় ওই সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রফিকুল ইসলামকে আহত করে। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা বশতঘরে রক্ষিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় শেরপুর সদর থানায় ও সি.আর আমলী আদালতে চিহ্নিতদের আসামী করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে সদর উপজেলার গাজীরখামার কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত এমদাদুল হকের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শফিকুল ইসলাম ও বড় বোন লাইলী বেগমের সাথে একই গ্রামের মৃত ইয়ানুছ আলীর ছেলে মো. মোশারফ ওরফে খাইজা ও ভাই রানা মিয়া, আঃ জলিল, মো. উপাল মিয়া এবং ছেলে মো. জসিম গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এসব ঘটনায় ওই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা পরপর কয়েক দফায় দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রফিকুল ও শফিকুল ইসলামের বশত বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় ওই সন্ত্রাসীরা বশতবাড়ী ঘর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তছনছ করে এবং বনজ কাঠের বাগান কেটে ধ্বংস করে দেয়। এদিকে বশত ঘরে রক্ষিত ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র সহ ৭/৮ লাখ টাকার সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় লাইলী বেগম বাদী হয়ে ওই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আসামী করে শেরপুর সদর থানায় ৩/০৭/২০২৩ ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করেছে যার মামলা নং ৬। এছাড়াও তিনি ওই আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সি.আর আমলী আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা প্রকাশ্যে রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও বড় বোন লাইলী বেগমকে হত্যা গুমের হুমকি দেওয়ায় বাড়ীঘর ছেড়ে প্রাণ ভয়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন তারা।
এব্যাপারে বাদী ও তার ভাইদের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃপক্ষের কাছে কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
হামিদুর/দেশবার্তা