সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে গণ-মানুষের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুরে অনুষ্ঠিত হলো শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা। ১৯ জুলাই বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ওই কর্মসূচি পালিত হয়।
জেলা শহরের থানা মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের সম্মুখ থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু।
শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি।
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিতে বিশ্বাসী বলে শেরপুরে বিএনপি তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে না হয় সেজন্য বিএনপি সে নির্বাচনকে বানচাল করতে নানাভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ কাজে বিশ্বাস করে তাই আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় আছে এদেশে শান্তিতে থাকবে এবং উন্নয়ন হবে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শেরপুর জেলার গ্রাম গঞ্জের উন্নয়ন হয়েছে। আবারো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় আনতে আমাদের সকলকেই ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে এবং ওই দুষ্টচক্রকে মোকাবেলা করতে হবে। শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ আছে এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকা মনোনয়ন দিবে আমরা তার জন্য কাজ করবো।
এসময় বক্তব্য রাখেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু, সহ-সভাপতি ও জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, শেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীর রুমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল হাসান উৎপল।
এর আগে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল সহকারে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে সমবেত হয়।
হামিদুর রহমান/দেশবার্তা