শেরপুর জেলার নকলা উপজেলাতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ছাব্বির মিয়া (১৬) নামে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী ও শিপন মিয়া (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে নকলা উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা দক্ষিণপাড়া গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ও গণপদ্দী ইউনিয়নের বড়ইতার গ্রামে ঘোড়ামারা নদীর পাড়ে পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু ঘটে।
ছাব্বির মিয়া চরঅষ্টধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের দিনমজুর শফিক মিয়ার ছেলে ও কোটেরচর জোনাব আলী চৌধুরী দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো এবং কৃষক শিপন মিয়া উপজেলার গনপদ্দী ইউনিয়নের বড়ইতার গ্রামের আতশ আলীর ছেলে ও ৩ সন্তানের জনক ছিলেন।
জানা গেছে, ছাব্বির মিয়া বৃষ্টির মধ্যে বন্ধুদের সাথে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ফুটবল খেলছিল। ওই সময় হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে ছাব্বির গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাব্বিরকে মৃত ঘোষণা করেন। গণপদ্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুর রহমান আবুল জানান, শিপন মিয়া বৃষ্টির মধ্যে ঘোড়ামারা নদীর পাড় থেকে গরু আনতে গেলে বজ্রপাতের কবলে পরেন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে।
বজ্রপাতে শিক্ষার্থী ছাব্বির মিয়া ও কৃষক শিপন মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ শুনে গভীর দুঃখ প্রকাশসহ নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে নিহত ছাব্বির মিয়া ও শিপন মিয়ার পরিবারকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে তাৎক্ষণিক নগদ ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বৃষ্টি শুরু এবং শেষ হওয়ার কিছু সময় পর পর্যন্ত সকলকে বাহিরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন।
মোশারফ হোসেন/দেশবার্তা