শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের প্রতাবিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত শাহা আলী ফকিরের ছেলে রফিক মিয়া (৫৫) এর হত্যা রহস্য দীর্ঘ সাড়ে তিন মাসপর উন্মোচিত হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতাবিয়া গ্রামের কুদরত উল্ল্যাহ আঙ্গুর, মস্তু মিয়া, সুলতান আহমেদ ও রসুল মিয়া গংদের ফাঁসাতে নিহত রফিক মিয়ার ভাতিজা ও মৃত আঃ মোতালেবের ছেলে মো. ওয়াসিম (৩৪), মো. জসিম (৩৬), মো. জিয়ার আলী (৩৮), মো. আলম (২৮) ও মো. ফয়সাল মিয়া (২৫) চলিত বছরের ১৯ জানুয়ারি রাতে কৌশলে চাচা রফিক মিয়াকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রফিক মিয়াকে হত্যা করে একই গ্রামের মো. হামিন উদ্দিনের মেহগনি কাঠ বাগানে তার লাশ ফেলে রাখে। এঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী অফিসার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার আবু সালেহ নাঈম ক্লুলেস মার্ডারের রহস্য উদঘাটন করতে ওই ৫ জনকে ২৮ মার্চ আটক করে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এবং আদালতের অনুমতিতে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা হত্যার দ্বায় স্বীকার করেছে। সেই সাথে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত এবং হত্যাকারী ওয়াসিমের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেই সাথে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতিটি ৫ মে শুক্রবার দুপুরে নিহত রফিক মিয়ার পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় ৫ মে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের রফিক মিয়া হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত এবং প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার আরো জানান, জমি সংক্রান্ত এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুদরত উল্ল্যাহ গংদের ফাঁসাতেই নিজ চাচাকেই রাতের আধারে হত্যা করে ধৃত আসামীরা। পুলিশ জোর তদন্তের কারণেই রফিক হত্যা রহস্য উন্মোচিত করা সম্ভব হয়েছে এবং হত্যাকান্ডের বিচারের পথ অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে তিনি এমনটাই মন্তব্য করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম অ্যান্ড অপস্ ) মো. সোহেল মাহমুদ, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান, ডিআইও-১ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার আবুল সালেহ নাঈম উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর/দেশবার্তা