শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলাতে বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকাস্থ শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী কল্যাণ সমিতি রোববার উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের হাঁসধরা এলাকার হালিমা আহসান টেকনিক্যাল (বিএম) ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে এই শিবিরের আয়োজন করে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই শিবিরের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক সচিব ও শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী কল্যাণ সমিতির সভাপতি রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. খুরশেদ আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইবনে সিনা স্পেশালাইজড হাসপাতালের চীফ কার্ডিয়াক সার্জন ও আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি মো. জাকির হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ আরো বক্তব্য দেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ ডি এম শহিদুল ইসলাম, ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম এ ওয়ারেজ নাইম, শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালাহউদ্দিন ছালেম, আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চিকিৎসা শিবির বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব ডা. শরিফুল ইসলাম, সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
চিকিৎসা শিবিরে কার্ডিয়াক সার্জন মো. জাকির হোসেন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সোলায়মান হোসেন, মো. তোফাজ্জল হোসেন, অর্থপেডিক্স সার্জন এম আর করিম, সাইফুল ইসলাম, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জন শরিফুল ইসলাম, শিশু বিশেষজ্ঞ সাইফুল আমিন, নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ আব্দুল করিম, চক্ষু বিশেষজ্ঞ এ ওয়াই এম ফেরদৌস হোসাইন, সার্জারী বিশেষজ্ঞ শামসুর রহমানসহ ২৮ জন চিকিৎসক বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এতে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা নেন এবং তাঁদেরকে বিনা মূল্যে ১০ লাখ টাকার ওষুধ প্রদান করা হয়।
উপজেলার হাঁসধরা গ্রামের কাজলী বেগম বলেন, তিনি নিজে ও তাঁর ছেলেকে এই শিবিরে ডাক্তার দেখিয়েছেন এবং বিনা মূল্যে ওষুধ পেয়েছেন। এজন্য তাঁর খুব ভালো লাগছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক সচিব খুরশেদ আলম বলেন, শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকাটি একটি অবহেলিত জনপদ। এই এলাকার অনেকের পক্ষেই জেলা সদর বা রাজধানী ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিসা নেওয়া সম্ভব হয় না। তাই তাঁদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে এই চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও তাঁদের এ ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
হামিদুর/দেশবার্তা