ভারত সীমান্তঘেষা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে একদল বন্যহাতির তাণ্ডবে একটি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার (৫ নভেম্বর) রাত ৩ টার দিকে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরণ দুধনই গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই দিনমজুর আব্দুল মোতালেব মৃত জানলি শেখের ছেলে।
এদিকে সংবাদ পেয়ে শনিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িটি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ। এসময় সহকারী বন সংরক্ষক (রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা) শরিফুল ইসলাম, গজনী বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ, ঝিনাইগাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য রহমত আলী প্রমুখ।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল মোতালেব জানান, রাত ৩ টার দিকে বন্যহাতির একটি দল আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমার বসত ঘরের সিমেন্টের খুঁটি, বেড়া, রান্নাঘর ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি করে। বসত ঘরে থাকা আলনা, ফ্রিজ, হাঁড়ি-পাতিল, জামা-কাপড়সহ যাবতীয় আসবাবপত্র নষ্ট করে। এসময় ঘরবাড়ি ফেলে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন তারা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বন্যহাতির দলটি তাণ্ডব চালায়। শুধু তাই নয়, ঘরে রাখা চাল ও ধান নষ্ট করেছে ক্ষুধার্ত হাতির দলটি। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রহমত আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির দল হানা দিচ্ছে। বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে কাঁচা ধান, সবজি, গাছ-পালাসহ মানুষের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
সহকারী বন সংরক্ষক (রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা) শরিফুল ইসলাম বলেন, গারো পাহাড়ে প্রতি বছরেই বন্যহাতির দল খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করে জানমালের ক্ষতি করে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়। বন বিভাগের আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সহযোগিতা করা হবে।
হারুন অর রশিদ/দেশবার্তা