সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে এবং অশ্রুজলে বুধবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শেরপুর জেলা শহরের আড়াইআনী পুকুর ঘাটে বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হয়েছে।
প্রতিমা বিসর্জনের আগে শেরপুর জেলা শহরের শ্রী শ্রী গোপাল জিউর নাট মন্দির প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট সুব্রত দে ভানু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার সাহার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন।
এসময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি প্রকাশ দত্ত, শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ, এডভোকেট হরিদাস সাহা, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মানিক দত্ত উপস্থিত ছিলেন। বিসর্জনের পূর্বে জেলা শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপের প্রতিমা গুলো আড়াইআনী পুকুর ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
বিজয়া দশমীর দিনে বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে র্মত্যছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দুর্গা। পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের পাঁচদিনের আনন্দ-উল্লাস আর বিজয়ার অশ্রু। বিসর্জন কালে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিশোর-কিশোরী ও নারী-পুরুষসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ প্রতিমা বিসর্জন উপভোগ করেন।
বাংলাদের পূজা উদযাপন পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট সুব্রত দে ভানু বলেন, আমরা অশুভকে বিসর্জন দিলাম। মা ফিরে গেছেন। আমরা সকল শুভকে গ্রহণ করেছি। সকল অমঙ্গল দূর হোক এটাই প্রত্যাশা। বিসর্জনের সময় নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি পূজা কমিটির নিজস্ব ভলান্টিয়াররাও দায়িত্ব পালন করেছেন। এবছর শেরপুর জেলায় ১৫৪টি মণ্ডপে হয়েছে দুর্গাপূজা।
হামিদুর/দেশবার্তা