শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলাতে সীমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালে উপজেলার কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের আশ্বিনাকান্দা গ্রামে নিজ বসত ঘর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে শ্রীবরদী থানার পুলিশ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এদিকে ঘটনার পরপরই নিহত গৃহবধূর স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধূ আশ্বিনাকান্দা গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী ও বীরবান্দা গ্রামের মোজাফফর আলীর মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার বীরবান্দা গ্রামের মোজাফফর আলীর মেয়ে সীমা আক্তারের সাথে একই উপজেলার আশ্বিনাকান্দা গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে জুয়েল মিয়ার সাথে প্রায় চার বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই দাম্পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি হয়। পারিবারিক জীবনে তাদের আলী হোসেন নামে ১০ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। হঠাৎ বুধবার সকালে জুয়েল মিয়ার বসত ঘরে রহস্যজনকভাবে সীমা আক্তারের লাশ পাওয়া যায়। ঘটনা জানাজানি হলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত গৃহবধূর পিতা মোজাফফর আলীর দাবী, দাম্পত্য জীবনে কলহের জের ধরে আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এব্যাপারে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাসলিম কবির বাবু/দেশবার্তা