অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং কোন পিছু টান তাঁকে ধরতে না পারার পিছনে যিনি নিজেকে তিল তিল করে উৎসর্গ করেছেন তাঁর নাম বঙ্গমাতা।
আজ সোমবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটোরিয়ামে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বঙ্গমাতা’র ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে দেখা যায়, একজন বালিকাবধু কিভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রেরণাদায়িত্রী এবং শুধু সুখ দুঃখের নয় মরণেও সহযাত্রী হয়েছেন। বেগম মুজিবের জীবনটা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সুখ কোথায় ছিল? ছিলতো শুধু কারাগার আর কারাগারের শিক ধরে বেগম মুজিবের নিরব অশ্রুপাত।
তিনি বলেন, বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুর গৌরবে গৌরবান্বিত বোধ করতেন এবং বঙ্গবন্ধুকে তাঁর জীবনের ধ্রুবতারা হিসেবে গ্রহণ করে সকল কষ্টকে পরিহার করে গেছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে যখন কারাবন্দি করা হলো তখন অনেক দিন কেউ জানতো না বঙ্গবন্ধুকে কোথায় রাখা হয়েছে। তখনও বঙ্গমাতা তার সন্তানদের সাহসের সাথে বলতেন তোমার বাবার মুক্তি হবে, মাথা উচু করেই মুক্তি হবে। বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আজীবন সহযাত্রী, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টে নিজের জীবন দিয়েই তা প্রমাণ করেছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজরে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।