আষাঢ় গিয়ে শ্রাবণ মাস এসেছে। কিন্তু তেমন বৃষ্টি কোথাও নেই। দাবাদহ এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। প্রতিটা এলাকায় এক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার কথা থাকলেও তা একাধিক বারও বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ফ্যানের নিচে বসে থেকেই ঘাম ঝড়ছে। সেখানে প্রতিদিন নিয়ম করে চলছে লোডশেডিং। এতে করে অনেক সময় হাত পাখা দিয়েই চলছে গরম থেকে বাঁচার চেষ্টা।
এখন যুগ পাল্টিয়েছে, কেউ আর হাত নাড়িয়ে কষ্ট করতে নারাজ। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে আগেই অনেক কিনেছে বাড়তি টেবিল ফ্যান ও স্ট্যান্ড ফ্যান এবং কেউ কিনেছেন আইপিএস। বিদ্যুতের এমন সংকটে বেড়েছে মোমের চাহিদা। এদিকে লোডশেডিং হলে রিমোট কন্ট্রোল চার্জার ফ্যান ও লাইটের চাহিদা বেড়েছে অনেক। এক্ষেত্রে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এসব ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর দাম। তবে বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতিতে যতই চার্জার ফ্যান ও লাইট ব্যবহার করিনা কেন? আমাদের সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরো সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে ছাড়া লাইট ও ফ্যান ব্যবহারে সর্তক থাকতে হবে। এতে করে বিদ্যুৎ ব্যবহার সাশ্রয় এবং অপচয় রোধ করা অনেকটাই সম্ভব হবে। অন্যদিকে আপনার বিদ্যুৎ বিলেও সাশ্রয় হবে।
এছাড়াও অফিস, আদালত, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল ও মার্কেটে অহেতুক লাইট ব্যবহার না করে জাতীয় সমস্যা বিদ্যুৎ সংকট উত্তোরণ করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তবেই দুঃসহ গরম এবং লোডশেডিং থেকে অনেকটাই সুফল ও এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে বলে সচেতন মহল এমনটাই মনে করে থাকেন।
তাই আসুন আমরা আরো সচেতন হয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করি এবং সেই সাথে বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করে জাতীয় সমস্যার উত্তোরণ ঘটিয়ে লোডশেডিং পরিস্থিতি মোকাবেলা করি।