টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত থেকে শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল পর্যন্ত টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঝিনাইগাতী সদর এলাকায় মহারশী নদীর পূর্বপাড়ের বাঁধ ভেঙে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ঢলের পানি প্রবেশ করে মহারশী নদী সংলগ্ন ২ হাজার মুরগীসহ একটি ফার্ম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় ও নিঁচু এলাকার ২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওই সকল বাড়ীর লোকজন ও জিনিসপত্র উদ্ধার করে তাদেরকে আশ্রয়স্থলে নিয়ে যায়। এছাড়াও ঢলের পানিতে ঝিনাইগাতী সদর ও গৌরীপুর ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্লাবিত এলাকার কয়েক শতাধিক মানুষ। কয়েক শত একর জমিতে পলি জমে ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে প্রায় ৫০টি পুকুরের মাছ। এছাড়াও মহারশী নদীর বাঁধ উপচে উপজেলা পরিষদ সম্মুখসহ সদর বাজারের বিভিন্ন স্থানে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়। এতে উপজেলার ২০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ঢলের পানিতে আউশ ও রোপা আমনের বীজতলাসহ কাঁচা ও আধাপাকা রাস্তা-ঘাটের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ও প্লাবিত এলাকা গুলো জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুন বৃহস্পতিবার পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলো। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো ১৭ জুন শুক্রবার দ্বিতীয় বারের মতো পাহাড়ি ঢলের পানিতে বন্যায় প্লাবিত হলো ঝিনাইগাতীর নিম্নাঞ্চল।
এবিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন, শুক্রবার ২য় বার বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ৭০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০শত পরিবার গুলোর মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন থেকে ১ লক্ষ নগদ টাকা ও ১৫ মেট্রিকটন খয়রাতি (জিআর) চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
হারুন অর রশিদ দুদু/দেশবার্তা