শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের টাঙ্গারিয়া পাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষকের স্ত্রী কৃষাণী ফজিলা খাতুন হত্যাকান্ডের ১৫ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত দোষীরা গ্রেফতার না হওয়ার প্রতিবাদে এবং তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের স্বজনরা।
১১ জুন শনিবার সকালে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের ছোট ভাই ও হত্যা মামলার বাদী নুর নবী।
লিখিত বক্তব্যে নুর নবী জানায়, কেবল মাত্র জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২০২১ সালে ২৮ মার্চ শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের টাঙ্গার পাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক তহুর আলীর স্ত্রী ফজিলাকে প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে আহত করলে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই তিন ৩১ মার্চ সকালে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নুর নবী বাদী হয়ে বজলুর রহমান বজলু, আলিফ উদ্দিন ও মজনুকে চিহ্নিত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। কিন্তু আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে লাশের সুরতহালের রিপোর্টে গায়ে আঘাতের চিহ্ন লেখা থাকলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্ট্রোক করে মারা যাওয়া দেখানো হয়। এছাড়া চার্জশীট গঠনেও মূল আসামী ২ জনের নাম বাদ দেয়া হয়। ওই চার্জশীটের বিপরীতের আদালতে না রাজি দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালী আসামী পক্ষের লোকজন বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি এবং মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে। ফলে বাদী নিজের নিরাত্তার জন্য শেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরিও করে রখেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
এসময় ফজিলার ৬ বছর বয়সের শিশু পুত্র মোহনসহ অন্য দুই পুত্র শেখ ফরিদ ও রাজিব এবং ফজিলার বড় ভাই আজাদ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর/দেশবার্তা