শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের তারানি গ্রামে রোববার রাত ৩ টায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এক অগ্নিকাণ্ডে আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তির দোকান ও বসবাসের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, আগুনের সুত্রপাত হয় বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে। দীর্ঘ দেড়ঘণ্টা চেষ্টা করে এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। ততক্ষণে কোনো কিছু আর বাকি থাকে না। সব পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। তাদের পরনের কাপড়টি ছাড়া আর কিছু নেই। খোলা আকাশের নিচে স্থান হয়েছে তাদের। এদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেলেনা পারভীন রোববার সকালে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ইউএনও ক্ষতিগ্রস্থ ওই পরিবারের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং ৫টি কম্বল তুলে দেন।
ক্ষতিগ্রস্থ আবুল কাশেম জানায়, সাত সন্তান নিয়ে আত্মরক্ষা করতে পারলেও আগুনের লেলিহান শিখা থেকে রক্ষা পায়নি কাশেমের ঘর সহ সমস্ত মালামাল। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। ভূমিহীন কাশেমের আয়ের একমাত্র উৎস ছিল ঘর সংলগ্ন তার এই দোকান। দোকানের এই আয় থেকেই স্ত্রী ও সাত সন্তান নিয়ে কাশেম কোনো রকমে পার করতো দিন। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে সব কিছু ভস্মিভূত হওয়ায় আজ সে পথে বসার উপক্রম।
রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য রহিমা খাতুন বলেন রাত ৩টায় বৈদ্যুতিক লাইন থেকে হঠাৎ এই আগুনের সুত্রপাত ঘটে। প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। এতে স্ত্রী ও সাত সন্তান নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন কাশেম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেলেনা পারভীন বলেন, হঠাৎ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় কাশেমের সব কিছু। তিনি প্রাথমিক অবস্থায় তাদের সামান্য আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। তবে এই পরিবার আবেদন করলে তিনি তাদের একটি ঘরের ব্যাপারে সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন। সেই সাথে বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানান।
মঞ্জুরুল আহসান/দেশবার্তা