শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলাতে শারীরিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (২০) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. আজাদ (২১) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ। তাঁর বাড়ি ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদীবাটা গ্রামে। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার একটি গ্রামে ধর্ষণের ওই ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার তরুণী উপজেলার একটি গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়ে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার আজাদের বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে ভুক্তভোগী তরুণীর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সে সুবাদে আজাদ ভুক্তভোগী তরুণীর পূর্বপরিচিত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আজাদ ভুক্তভোগী তরুণীকে মুঠোফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর ওই তরুণীকে একটি অটোরিকশায় চড়িয়ে বিভিন্নস্থানে নিয়ে ঘোরাফেরা করেন। পরে বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে আজাদ তরুণীকে তাঁর হলদীবাটা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান এবং বাড়িসংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে তাঁকে (তরুণী) জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে আজাদ ভুক্তভোগী তরুণীকে তাঁর বাড়ির নিকটবর্তী এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণী বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মাকে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলেন ও থানায় মামলা করেন।
ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া শুক্রবার বিকেলে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী নিজেই বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আজাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানার আদালতের নির্দেশে শুক্রবার বিকেলে আজাদকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া জেলা সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
হামিদুর/দেশবার্তা