শেরপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরম শ্রদ্ধেয় জীবিত পিতা-মাতাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শেরপুর জেলা ইউনিট কমান্ডের সহযোগিতায় সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শেরপুর জেলা ইউনিট কমান্ড সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম নুরুল ইসলাম হিরো এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ও সভাপতির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ। এসময় তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের জীবিত পিতা-মাতাকে সম্মান করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যে পিতা-মাতা তাদের সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছিল। সেই পিতা-মাতাদের আমরা সম্মান জানাই এবং আল্লাহতালা তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখুক। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, ২৪ জনের মাঝে প্রত্যেককে মাসে ২ হাজার টাকা এবং ফ্রি চিকিৎসা সহায়তার জন্য চিকিৎসা কার্ড প্রদান করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শেরপুর জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) সাইয়েদ এ.জেড. মোরশেদ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শিক্ষাবিদ ড. সুধাময় দাস, শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া শিবু, জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. মোবারক হোসেন, নালিতাবাড়ী পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ আলী লাল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শেরপুর জেলা ইউনিট কমান্ড সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলহাজ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম জিন্নাত আলী, সদর উপজেলা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল মনসুর প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবিত ৪ জন পিতা ও ২০ জন মাতার হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ।
এসময় শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, জনউদ্যোগ শেরপুরের আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, জেলা ও উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, মৃত ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের পিতা-মাতাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর/দেশবার্তা