শেরপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুর ১টায় শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত আলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ সমর্থকদের ডিসি গেইট মোড়ে ওই ঘটনা ঘটে। এতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ জন আহত হয়েছে।
জেলা বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত আলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ গ্রুপের মধ্যে দলীয় কোন্দল চলে আসছিল। এরই জেরধরে মঙ্গলবার দুপুরে দ্রব্যমূল্য ঊধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে জমায়েত হতে থাকেন। এদিকে আরেকটি গ্রুপ প্রবেশ করার সাথে সাথেই ওই দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় হাতাহাতি বন্ধ হলে তারপর জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ এর হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দরা। স্মারকলিপি প্রদান শেষ করে যাওয়ার পথে ডিসি গেইট মোড়ে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মাঝে আবারো সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই সংঘর্ষে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ জন আহত হয়েছে।
এব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের জন্য যাচ্ছিলাম। সে সময় শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদের কিছু সমর্থক আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। সেখানে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলও উপস্থিত ছিলেন। এরপর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের ৬ থেকে ৭ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এছাড়াও নিজেদের মধ্যে কোন্দলের প্রশ্নে জেলা বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের কারনে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তাই কিছু নেতাকর্মী ক্ষোভে এই জঘন্য কাজ করেছে।
অপরদিকে নিজের প্রতি আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ জানান, জুনিয়র-সিনিয়র দাঁড়ানোর বিষয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এখানে কে বা কাহারা জড়িত সেই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আহাম্মদ জানান, ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করে। এছাড়াও তিনি বলেন, কারও লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জাহিদুল খান সৌরভ/ দেশবার্তা