সরকার পরির্বতনের পর মাদক কারবারিরা আরো সক্রিয়, সীমান্তে কঠোর নজরদারি দরকার
- আপডেট সময় : ০৬:৫২:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী তিনটি উপজেলার আন্তঃজেলা মাদক কারবারিরা আরো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে করে মাদকের আগ্রাসনে যুব সমাজের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে এবং সেই সাথে অপরাধ প্রবণতা কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে। এমন অবস্থায় সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সীমান্তবর্তী এলাকায় কঠোর নজরদারি ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান এখনই দরকার হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও বেসরকারি হিসেবে সারাদেশে এক কোটিরও বেশি নানা বয়সের মাদকাসক্ত রয়েছে। মাদক কারবারিদের ক্রয় বিক্রয় এবং মাদক পাচারে শেরপুর জেলায় বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়। মাদক কারবারে গডফাদার, বাহক ও বিপণন নেটওয়ার্কে কাজ করে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি। মাদক কারবারিদের ভয়াল থাবায় শেরপুর জেলা থেকেই প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এদিকে অসৎ সঙ্গ, হতাশা ও আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাবে মাদকসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। শেরপুর জেলার তিনটি সীমান্তবর্তী উপজেলা শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী দিয়ে মাদক কারবারিরা ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ ক্রয় বিক্রয় ও অবাধে পাচার করছে এবং এসব মাদক পাচারকারিরা মাদকসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটকও হচ্ছে অনেক, তবুও থামছেনা জেলায় মাদক পাচার। এক তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের উত্তর জনপদ সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলাটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যে হওয়ায় এবং পাহাড় বেষ্ঠিত জেলার জন্য মাদক কারবারিদের মাদক পাচার সহজ পথ হয়ে উঠেছে বলে তারা নির্বিঘ্নে দেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদক পাচার অবাধে করে যাচ্ছে। তাই মাদক পাচার রোধে শেরপুর জেলার তিনটি পাহাড়ি জনপদে নজরদারির কোন বিকল্প নেই। এছাড়াও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট এলাকার থানার ফোর্সের নজরদারির পাশাপাশি জনসচেতনতা আরো বেশি সৃষ্টি করা সম্ভব হলে মাদকের আগ্রাসন অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে অভিজ্ঞ মহল এমনটাই ধারণা করছেন।