ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশকে নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে: শেরপুরের পুলিশ সুপার শেরপুরে আদালত প্রাঙ্গণে জব্দকৃত মদ, ইয়াবা ও ফেনসিডিল ধ্বংস শেরপুরে নারীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ শেরপুরে সাইবার নিরাপত্তায় সচেতনতামূলক সেমিনার শেরপুরে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল নালিতাবাড়ী সীমান্তে বিজিবি’র ওপর বেপরোয়া চোরাকারবারীদের হামলা, আটক ৩ শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরে নেই এইচএমপিভি’র সতর্কতা গ্রামীণফোন লিমিটেড এর B2B কর্পোরেট সপ্তাহ উদযাপন লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা মুকুল আসার আগেই আম গাছের যত্ন নিন

সরকার পরির্বতনের পর মাদক কারবারিরা আরো সক্রিয়, সীমান্তে কঠোর নজরদারি দরকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী তিনটি উপজেলার আন্তঃজেলা মাদক কারবারিরা আরো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে করে মাদকের আগ্রাসনে যুব সমাজের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে এবং সেই সাথে অপরাধ প্রবণতা কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে। এমন অবস্থায় সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সীমান্তবর্তী এলাকায় কঠোর নজরদারি ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান এখনই দরকার হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও বেসরকারি হিসেবে সারাদেশে এক কোটিরও বেশি নানা বয়সের মাদকাসক্ত রয়েছে। মাদক কারবারিদের ক্রয় বিক্রয় এবং মাদক পাচারে শেরপুর জেলায় বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়। মাদক কারবারে গডফাদার, বাহক ও বিপণন নেটওয়ার্কে কাজ করে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি। মাদক কারবারিদের ভয়াল থাবায় শেরপুর জেলা থেকেই প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এদিকে অসৎ সঙ্গ, হতাশা ও আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাবে মাদকসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। শেরপুর জেলার তিনটি সীমান্তবর্তী উপজেলা শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী দিয়ে মাদক কারবারিরা ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ ক্রয় বিক্রয় ও অবাধে পাচার করছে এবং এসব মাদক পাচারকারিরা মাদকসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটকও হচ্ছে অনেক, তবুও থামছেনা জেলায় মাদক পাচার। এক তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের উত্তর জনপদ সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলাটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যে হওয়ায় এবং পাহাড় বেষ্ঠিত জেলার জন্য মাদক কারবারিদের মাদক পাচার সহজ পথ হয়ে উঠেছে বলে তারা নির্বিঘ্নে দেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদক পাচার অবাধে করে যাচ্ছে। তাই মাদক পাচার রোধে শেরপুর জেলার তিনটি পাহাড়ি জনপদে নজরদারির কোন বিকল্প নেই। এছাড়াও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট এলাকার থানার ফোর্সের নজরদারির পাশাপাশি জনসচেতনতা আরো বেশি সৃষ্টি করা সম্ভব হলে মাদকের আগ্রাসন অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে অভিজ্ঞ মহল এমনটাই ধারণা করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সরকার পরির্বতনের পর মাদক কারবারিরা আরো সক্রিয়, সীমান্তে কঠোর নজরদারি দরকার

আপডেট সময় : ০৬:৫২:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী তিনটি উপজেলার আন্তঃজেলা মাদক কারবারিরা আরো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে করে মাদকের আগ্রাসনে যুব সমাজের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে এবং সেই সাথে অপরাধ প্রবণতা কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে। এমন অবস্থায় সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সীমান্তবর্তী এলাকায় কঠোর নজরদারি ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান এখনই দরকার হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও বেসরকারি হিসেবে সারাদেশে এক কোটিরও বেশি নানা বয়সের মাদকাসক্ত রয়েছে। মাদক কারবারিদের ক্রয় বিক্রয় এবং মাদক পাচারে শেরপুর জেলায় বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়। মাদক কারবারে গডফাদার, বাহক ও বিপণন নেটওয়ার্কে কাজ করে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি। মাদক কারবারিদের ভয়াল থাবায় শেরপুর জেলা থেকেই প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এদিকে অসৎ সঙ্গ, হতাশা ও আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাবে মাদকসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। শেরপুর জেলার তিনটি সীমান্তবর্তী উপজেলা শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী দিয়ে মাদক কারবারিরা ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ ক্রয় বিক্রয় ও অবাধে পাচার করছে এবং এসব মাদক পাচারকারিরা মাদকসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটকও হচ্ছে অনেক, তবুও থামছেনা জেলায় মাদক পাচার। এক তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের উত্তর জনপদ সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলাটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যে হওয়ায় এবং পাহাড় বেষ্ঠিত জেলার জন্য মাদক কারবারিদের মাদক পাচার সহজ পথ হয়ে উঠেছে বলে তারা নির্বিঘ্নে দেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদক পাচার অবাধে করে যাচ্ছে। তাই মাদক পাচার রোধে শেরপুর জেলার তিনটি পাহাড়ি জনপদে নজরদারির কোন বিকল্প নেই। এছাড়াও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট এলাকার থানার ফোর্সের নজরদারির পাশাপাশি জনসচেতনতা আরো বেশি সৃষ্টি করা সম্ভব হলে মাদকের আগ্রাসন অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে অভিজ্ঞ মহল এমনটাই ধারণা করছেন।