ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলাতে ৯ জন ভিক্ষুকদের মাঝে পণ্যসহ দোকানঘর প্রদান করা হয়েছে। ৩ জুলাই বুধবার দুপুরে নকলা উপজেলা পরিষদ সম্মুখে ওইসব প্রদান করা হয়।
এসময় নকলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ.কে.এম মাহবুবুল আলম সোহাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া উম্মুল বানিন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মুনসুর, জেলা পরিষদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবু হামযা কনক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাকি আক্তার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, নকলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, উপকারভোগী ভিক্ষুক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার যেসকল ভিক্ষুক ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে অপেক্ষাকৃত কম পরিশ্রমে অন্যকোন পেশার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে আগ্রহী ৯ জন ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের লক্ষে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভিক্ষুক ও বিকল্প কর্মসূচির আওতায় একটি করে টং দোকান ঘর ও মুদির দোকানের পণ্য তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি চলমান প্রক্রিয়া বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া উম্মুল বানিন জানান, এই দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করছে। বিশেষ করে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিক্ষুকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার মতো এমন অনেক মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন; যা আজ বিশ্ব দরবারে সুনাম কুড়াচ্ছে।
মোশারফ হোসাইন/দেশবার্তা