বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে আরও এক বছর থাকছেন সুভাষ চন্দ বাদল। সোমবার (১৩ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. আশরাফুল আলম সাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন অনুযায়ী সুভাষ চন্দ বাদলকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হলো। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও এতে জানানো হয়। এর আগে ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর সাংবাদিক সুভাষ চন্দ বাদলকে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। এ দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সারাদেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। জানা যায়, সুভাষ চন্দ বাদল শেরপুর জেলা শহরের নয়ানীবাজার এলাকার স্বর্গীয় শচীন্দ্র কুমার চন্দের চতুর্থ সন্তান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। এরপর তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক বাংলার বাণীতে সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিডিয়া সেলে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে তিনি দিল্লীতে বাসস’র ব্যুরো চীফ হিসেবে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি অবসরে যান। সুভাষ চন্দ বাদল ১৯৭৪ সালে শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশী নির্যাতন ও দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। তার কর্মজীবনে তিনি প্রায় ৫০টি দেশ সফর করেছেন।
দ্বিতীয়বারের মতো সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি নির্বাচিত হওয়ায় এক প্রতিক্রিয়ায় সুভাষ চন্দ বাদল বলেন, আমাকে আবারও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেইসাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যাতে সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারি সেজন্য সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাই। এদিকে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব পাওয়ায় সুভাষ চন্দ বাদলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, শেরপুর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা শেরপুর জেলা ইউনিটের সভাপতি আছাদুজ্জামান মোরাদ, সাধারণ সম্পাদক জিএইচ হান্নানসহ বিভিন্ন মহল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী পদাধিকার বলে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব পদাধিকার বলে ভাইস চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদাধিকার বলে সদস্য-সচিব। দুঃস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের কল্যাণ সাধন, পেশাগত কাজ করতে অক্ষম ও অসমর্থ সাংবাদিকদের আর্থিক সাহায্য প্রদান, অসুস্থ সাংবাদিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা বা আর্থিক সাহায্য প্রদান, সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করাসহ সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা ধরনের কাজ করে থাকে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।
হামিদুর/দেশবার্তা