শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামে রোববার (১১ জুন) রাত ৮টায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের মো. আফাজ উদ্দিনের ছেলে মো. শামীম মিয়া (৩০) এর নেতৃত্বে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী কায়দায় কলেজ শিক্ষার্থী মো. সুলতান মিয়া (১৮) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করেছে। এছাড়াও মামলার আসামীরা মামলার বাদী মো. সোলায়মান (৩৫) এর পকেটে থাকা ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পাকুড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মো. সোলায়মানের সাথে একই গ্রামের মো. আফাজ উদ্দিনের ছেলে মো. শামীম মিয়া ও মৃত বালু মন্ডলের ছেলে মো. মামুন মিয়া (২৯), মো. লালন মিয়া (৩৩), মো. মাহফুজ মিয়া (৩৬) এবং মৃত আঃ মজিদের ছেলে মো. জুয়েল মিয়া (৩২) গংদের সাথে পূর্ব শত্রুতা ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। এরই জের ধরে রোববার রাতে ওই সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে পাকুড়িয়া পূর্বপাড়া সোলায়মানের মার্কেটের সম্মুখে অবস্থান নেয়। পরে সোলায়মানের ছোট ভাই কলেজ শিক্ষার্থী মো. সুলতান মিয়া তার বড় ভাই সোলায়মানকে মোবাইল ফোনে এঘটনা জানালে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেল যোগে তার মার্কেটের সম্মুখে পৌঁছামাত্র ওই সন্ত্রাসীরা গালাগালির এক পর্যায়ে ছোট ভাই মো. সুলতান মিয়া প্রতিবাদ করলো তাকে মামলার ৪নং আসামী মাহফুজ মিয়ার হুকুমে ১নং আসামী মো. শামীম মিয়ার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই কলেজ শিক্ষার্থীর মাথা কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে আত্মীয় স্বজন উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে বাদী সোলায়মান আরো অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পূর্বে তার বোনের বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র ওই সন্ত্রাসীরা তার পকেট থেকে ওই ২ লাখ টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়াও শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি গুরুতর আহত কলেজ শিক্ষার্থী মো. সুলতান মিয়ার জখমী সনদ টেম্পারিং করারও অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে এমনটাই অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে সোলায়মান ৫ জনকে চিহ্নিত করে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার আবু সালেহ নাঈম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন।
এদিকে বাদী সোলায়মান মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
হামিদুর/দেশবার্তা