শেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প-২০৪১ এর সফল বাস্তবায়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে ‘স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০২৩’ বিষয়ে জেলার অংশীজনদের নিয়ে শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মাহমুদুল হক।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার। এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক এবং উন্নত আয়ের উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এটি বাস্তবায়নে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে ডিজিটাল সেবার মানোন্নয়নে স্মার্ট জেলা প্রতিষ্ঠায় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, আমরা স্মার্ট জেলা ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্বল্প ও দীর্ঘ পরিকল্পনা প্রণয়ন করছি। যার মূল স্তম্ভ চারটি- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। সব পেশার কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নাগরিকদের বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী মানসিকতা তৈরি করে স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্যাশলেস, ট্রান্সপারেন্ট এবং অ্যাকাউন্টেবল পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে দুর্নীতিমুক্ত জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা প্রণয়ন করে একটি স্মার্ট ইকোনমি তৈরি করা সম্ভব হবে। সরকারের সব কার্যক্রমে পেপারলেস অফিস বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি স্মার্ট গভর্নমেন্ট তৈরি করতে হবে। স্মার্ট এগ্রিকালচার, স্মার্ট হেলথ কেয়ারসহ সব কার্যক্রম নিয়ে আমরা একটি স্মার্ট সোসাইটি গঠন করব।
উক্ত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মাহমুদুল হক। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি এই চারটি পিলারের উপর ভিত্তি করে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে , সেই লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে শেরপুর জেলাকেও একটি স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট হিসেবে গড়ে তুলতে সকল দপ্তর ও অংশীজনের ভূমিকা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান।
কর্মশালায় মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠানে সরকারি দপ্তর, সুধিজন, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর/দেশবার্তা