স্বামীর সাথে ঝগড়া করে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার হালিমা কাউকে কিছু না বলে শিশু ছেলে মুন্নাকে নিয়ে ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে জামালপুর থেকে ট্রেনে উঠে। নান্দিনা পর্যন্ত গেলে ট্রেনে থাকা এক খারাপ প্রকৃতির লোক হালিমার বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে আদর করতে চায়।
হালিমা সরল বিশ্বাসে তার বাচ্চাকে লোকটির কোলে দিয়ে টয়লেটে যায়। এই সুযোগে বাচ্চাটিকে চুরি করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত নামা ওই ব্যাক্তি। হালিমা টয়লেট থেকে বেরিয়ে এসে দেখে বাচ্চাসহ লোকটি উধাও। খোঁজাখুজির পরও হদিস মেলেনি। পরে ওই চোর বাচ্চাটিকে শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মেহেদী হাসান বাচ্চাটিকে ১৩ মে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। শিশুটির বাবা-মা’র সন্ধান পেতে সোস্যাল মিডিয়া সহ নানা ভাবে প্রচারনা চালায় প্রশাসন।
একদিন পর প্রকৃত বাবা-মা’র খোঁজ পাওয়া গেলে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহম্মেদ বাদলের দিকনির্দেশনায় ১৪ মে বাচ্চাটিকে তার বাবা-মা’র নিকট ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ৮ মাস বয়সী চুরি হওয়া শিশু মাহবুব আহাম্মেদ মুন্না শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ৩নং রাজনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণপট্টি গ্রামের হৃদয় ইসলাম মজনু ও হালিমা বেগমের ছেলে।
আমিরুল ইসলাম/দেশবার্তা