২০২৩ ইংরেজী নববর্ষ জানুয়ারি মাসে বিদ্যুতের দাম এক দফা বাড়ানো হয়েছে। আবার ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়ানো এবং গ্যাসের বাড়তি দামও একইভাবে বাড়ানো হচ্ছে। এতে করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে শিল্প উদ্যোক্তা ও সাধারণ গ্রাহক দুশ্চিন্তায় পড়েছে। জানুয়ারি মাসে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৫ শতাংশ বেড়েছে। এরপর শিল্প ভেদে গ্যাসের দাম ৮৭ থেকে ১৭৮ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। তিন সপ্তাহের মধ্যে দুই দফা গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে শিল্প উদ্যোক্তা এবং বাসাবাড়ীর সাধারণ গ্রাহকরা বিপাকে পড়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু? বাড়েনি মানুষের আয়। এতে করে মধ্যবিত্ত পরিবারের সংসার চালানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়বে।
পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুতের চড়া দামে মাঝারী ও ভারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবার ফলে পণ্যের দাম আরো বেড়ে যাবে। ফলে আমদানী পণ্যের সস্তা হয়ে যেতে পারে। তার মানে দেশীয় পণ্যে উৎপাদকেরা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাবে। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিতে পড়বে বলে অভিজ্ঞ মহল এমনটাই মনে করছেন।
ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের সাথে ব্যয় সমন্বয় না হলে লোকসানে এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান ঝুঁকি এবং বন্ধ হয়ে যাবারও আশংকা করছেন অনেকে। এছাড়াও এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীও হুমকির মুখে পড়বে। তাই দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে হলে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করে শিল্প প্রতিষ্ঠান রক্ষা করতে সরকারকে সহনশীল হয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সাথে ২০৪১ সাল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশে আরো নতুন নতুন শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে সরকারকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে করে অর্থনীতির চাকা ঘুরবে, পাশাপাশি দেশের বেকারত্ব কমবে এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।