শেরপুর পৌর লেডিস ক্লাবের আয়োজনে ও পৌরসভার বাস্তবায়নে পিঠা উৎসব-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঐহিত্যবাহী শেরপুর পৌরসভা চত্বরে ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম।
এর আগে পৌরসভার মিলনায়তনে পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনের সভাপতিত্বে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেরপুর পুনাকের সভানেত্রী সানজিদা হক মৌ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, সদর উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মো. কামাল হোসেন, শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, পৌর লেডিস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান আরা লিপি।
এসময় বক্তারা বলেন, পিঠা উৎসব আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের একটি অংশ। শীত এলে বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর ধুম পড়ে যায়। শীতকাল আর পিঠা যেন বাঙালী সমাজে একসূত্রে গাঁথা এবং চলতে থাকে তা শীতকাল জুড়ে। পিঠা বাঙালী জীবন ও সংস্কৃতির এক অপরিহার্য উপাদান। পিঠা উৎসবে পৌর লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী শাহীনা আক্তার পারভীন, শেরপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা শেরপুর জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক জিএইচ হান্নান, পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবীব, রহমতুল্লাহ, নাহিদ, ইদ্রিস আলী গেন্দাকুল ও অন্যান্য কাউন্সিলর, পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী, লেডিস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ পিঠা উৎসবে ১৬টি স্টল ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। পিঠা উৎসবে ১৬ টি স্টলে সাজানো ছিল দেশের ঐতিহ্যবাহী বাহারি ও সুস্বাদু পিঠা। চিতোই, পাকানো, পাকোয়ান, পক্কন, পাটিসাপটা, কুশলি, ভাপা, ভাত পিঠা, কাটা পিঠা, নকশি, পুলি, দুধ পিঠা, লাউ পায়েস, ছিট পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, গোকুল, রসপুলি পিঠাসহ প্রায় ৫০ রকমের পিঠা ছিল পুরো মেলা প্রাঙ্গণে। পিঠা উৎসবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এসব স্টলে ভীড় জমায়।
হামিদুর/দেশবার্তা