সারাদেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই অংশ হিসেবে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দ্বিতীয় পর্বে শেরপুর জেলার সদর উপজেলার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি।
শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষ থেকে ভাচুয়ালি যুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু বকর সিদ্দিক, সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টচার্য্য, শেরপুর গণপূর্ত বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশীদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহনাজ ফেরদৌস, শেরপুর ইসলামিক ফাউণ্ডেশন উপ-পরিচালক এস এম মোহাই মোনুল ইসলাম, শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি এডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম হিরো, শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মানিক দত্ত, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন ঘোষনা করার পর শেরপুর জেলা শহরের চাপাতলী মধ্যপাড়াস্থ স্থাপিত সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার। পরে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া শেষে তিনি মসজিদের বিভিন্ন তলার বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখেন।
গণপূর্ত বিভাগের তথ্য মতে, শেরপুর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটির নির্মাণ শুরু হলে শেষ হয় প্রায় তিন বছরে।
প্রথমে মুসুল্লিদের মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সিঁড়ি ও গাড়ী প্রবেশের র্যাম্প। উক্ত ভবনের নীচ তলায় রয়েছে মৃত ব্যক্তির গোসলের ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য র্যাম্প- আলাদা নামাজের স্থান-মানসম্মত ও ওযুখানা, ইসলামী সংস্কৃতি ও গবেষণার জন্য বই বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র, ইমান ট্রেনিং সেন্টার, অটিজম কর্ণার, মানসম্মত রান্নাঘর ও ডাইনিং এবং ১০ টি গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা।
২য় তলার রয়েছে মুসুল্লিদের জন্য নামাজের স্থান যেখানে একসাথে ৭২৭ জন নামাজ পড়তে পারবে, দৃষ্টিনন্দন মেহরাব, মিটিং রুম, উপ পরিচালকের অফিস রুম, মানসম্মত টয়লেট ও ওজুখানা, মৃত ব্যক্তির জানাযার ব্যবস্থা ও মুসুল্লিদের প্রবেশের জন্য প্রশস্থ দুইটি সিঁড়ি।
মসজিদের ৩য় তলায় রয়েছে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান যেখানে ২২৫ জন পুরুষ ৮৯ জন নামাজ পড়তে পারবে এবং মহিলাদের প্রবেশের জন্য আলাদা সিঁড়ি, হেফজখানা, ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরী, মহিলাদের জন্য পৃথক ও মানসম্মত টয়লেট-ওজুখানা। এছাড়াও ৯৬’-০” নয়নাভিরাম সুউচ্চ মিনার, ৪টি সুবিশাল এ দৃষ্টিনন্দন গম্ভুজ এবং পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা।
অন্যান্য সুবিধাদিঃ ১৫০ কেভিএ সাব-ষ্টেশন, ৩০ কেভিএ জেনারেটর, প্রধান নামাজ কক্ষের জন্য ৩০ টন এসি ৩০ হাজার গ্যালন ক্ষমতার ভূগর্ভস্থ জলাধার, ২টি ৫.৫ ঘোড়া সার-মারসিবল পাম্প, ২টি ৫.৫ ঘোড়া সেন্ট্রিফিউগাল পাম্পসহ গভীর নলকূপ, সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য সিসিটিভি, সাউন্ড সিষ্টেম, ৩ কিলোওয়াট ক্ষমতার অনগ্রিড সোলার, ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার এলার্ম সিষ্টেম, বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা, পাম্প হাউজ, অভ্যন্তরীন রাস্তা, ড্রেন, দৃষ্টিনন্দন সীমানা দেয়ালে, গার্ডরুম, সিকিউরিটি ও গার্ডেন লাইট এবং সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা। উদ্যোগী দপ্তর ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাস্তবায়নে গণপূর্ত অধিদপ্তর, কাঠামোগত নকশা গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান Essen Engineering & Co. Ltd.
হামিদুর রহমান/দেশবার্তা