শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের পার্শ্বে শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে গ্রীল কেটে গত ২৪ নভেম্বর ভোর রাতে এক দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় পুলিশ দুই চোর ও চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার করে।
এ উপলক্ষে শনিবার (৩ ডিসেম্বর ) দুপুর ১টায় শেরপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম এক প্রেস ব্রিফিং করেছেন। এসময় পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ২৪ নভেম্বর ভোর রাতে শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পূর্ব দিকে অজ্ঞাত চোর গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে একাডেমি ভবনের দো’তলায় প্রবেশ করে ল্যাবের হেজবল্ট তালা কাটার সময় ঘটনাস্থলে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কর্মরত নৈশ্য প্রহরী মো. লুৎফর রহমান ও মো. দেলোয়ার হোসেন গেলে তাদেরকে চোরদ্বয় মারধোর করে আহত এবং বেধে সিড়ির নিচে ফেলে রাখে। এসময় ল্যাবে রক্ষিত কম্পিউটার মূল্যবান যন্ত্রপাতি, ২৫টি প্রসেসর, ২৫টি র্যাম, ২২টি হার্ডডিস্ক, ২টি সিপিইউসহ প্রায় ১০/১২ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। পরে এঘটনায় ওই দিন শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে পুলিশ সিসি টিভির ফুটেজে অজ্ঞাতনামা চোরদের গ্রেফতার করতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বার্তা পাঠায়। এরই এক পর্যায়ে ২৯ নভেম্বর রাতে আন্তঃজেলা ওই দুই চোর নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লাহ চর রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত জামালের ছেলে মো. এরশাদ (৩৬) ও একই জেলার মুসলিমনগর নতুন বাজার এলাকার মৃত দেলোয়ারের ছেলে মো. হাসান (৩২) শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মত সাতক্ষীরা পলিটেকনিকে চুরি করতে গিয়ে আটক হয়। পরে তারা শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চুরি দায় স্বীকার করেছেন। ধৃত চোরদ্বয়কে শেরপুর সদর থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে এবং তাদের দেখানো মত তথ্যের ভিত্তিতে শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চুরি হওয়া বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ সোহেল মাহমুদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল, জেলা গোয়ন্দা শাখা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান, ডিআইও-১ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, শহর ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল কায়ুম, সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইয়ুমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর/দেশবার্তা