শেরপুরে ৬ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান আসামী ধর্ষক মো. আঃ কুদ্দুস (৪২) কে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। এঘটনায় শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা শেরপুর জেলা শহরের মাধবপুরস্থ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
গ্রেফতারকৃত মো. আঃ কুদ্দুস শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মনকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।
এসময় কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ভিকটিম একজন হতদরিদ্র ঘরের মাতৃহারা সন্তান। ভিকটিমের মা ৬/৭ মাস পূর্বে মৃত্যুবরণ করায় তার নানি ও দাদির কাছে লালন-পালন হয়ে আসছিল। ভিকটিমের বাবা একজন গরিব অসহায় অটোরিক্সা চালক। ভিকটিমের ভাই জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ওয়েল্ডিং এর দোকানে কাজ করেন। সংসাদের অন্যান্য খরচ ও ভিকটিমের ভরন পোষনের জন্য তাহার বৃদ্ধা দাদি ও নানি অন্যের বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করেন। ঘটনার দিন জীবিকার তাগিদে সবাই বাড়ি থেকে নিজ নিজ কাজে বেরিয়ে পরেন। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে লম্পট চরিত্রহীন মো. আঃ কুদ্দুস ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে সুলভ আচরণ ও সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে তাহার নিজ বসতঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম ধর্ষণের ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ব্যথায় কান্নাকাটি করতে করতে তাদের বসতঘরের দিকে আসতে থাকলে পাড়া প্রতিবেশী ভিকটিমকে জিজ্ঞাস করে, পরে সে ঘটনার বর্ণনা দেন এবং ভিকটিমের গোপনাঙ্গ হতে রক্তপাত দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে তার বাবাকে সংবাদ দেয়। পরে তার বাবা স্থানীয় লোকজনসহ ভিকটিমকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এম.এম সবুজ রানা, শেরপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর/দেশবার্তা