শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের মাদারপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দিনমজুর আবু রায়হান গাজী (৪০) কে ২৭ নভেম্বর রোববার সকাল ৮টার দিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার দায়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আবুল কালাম আজাদ ও শাহজাদার ছেলে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার আবু রায়হান গাজীর পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার প্রভাবশালী ও বিত্তশালী আবুল কালাম আজাদ, হুমাযুন কবির ও ছামিউল পরিবার গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে গাজীর পরিবারের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এবিষয়ে গাজীর পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বেও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এদিকে রোববার সকালে গাজী নিজ বাড়ী থেকে জেলা শহর শেরপুরে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে প্রতিপক্ষরা গাজীকে তুলে নিয়ে আবুল কালাম আজাদ, হুমায়ুন কবির গংরা হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। নিরুপায় হয়ে স্বামীকে বাঁচাতে গাজীর স্ত্রী রানী আক্তার এগিয়ে এলে তাকেও আক্রমণ করা করে তারা। এমতাবস্থায় গাজীকে বাঁচাতে তার পরিবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। ফোন পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল আলম ভুইয়ার নির্দেশে উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ উদ্দিন, সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জিল্লুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল গিয়ে গাজীকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এসময় ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আবুল কালাম আজাদ ও হুমায়ুন কবিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আহত গাজীর বড় ভাই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে রোববার সন্ধ্যায় ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে আহত গাজী ও তার স্ত্রী রানী আক্তার ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওই গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজাদ-হুমায়ুন গংরা নিরীহ পরিবারটিকে দীর্ঘদিন থেকে নির্যাতন করে আসছে। এসবের প্রতিকার প্রয়োজন। মামলার বাদী ও আহতের বড় ভাই জালাল উদ্দিন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল আলম ভুইয়া সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় আবুল কালাম আজাদ ও হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হারুন অর রশিদ দুদু/দেশবার্তা