শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর নাকশী উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই যুগ ধরে ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করেও বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক হতে পারলেন না নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস। বিষয়টি তদন্তপূর্বক সমাধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষক নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস ১৯৯৭ সাল থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে তিনি ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করে আসছেন। ঢাকা ও ময়মনসিংহ বোর্ডের এসএসসি ইংরেজি পরীক্ষার খাতা প্রতি বছর তিনি মূল্যায়ন করে আসছেন। প্রধান শিক্ষক প্যাটার্ন বর্হিভুতভাবে ইংরেজি শিক্ষকের চাহিদা দেখিয়ে এনটিআরসিএ এর মাধ্যমে বিদ্যালয়ে আরো একজন ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগ করেছেন।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এমপিও শীটে জনবল কাঠামোতে আমাকে সহকারী শিক্ষক সমাজিক বিজ্ঞান পদবীতে দেখানো হয়। অথচ এই সামাজিক বিজ্ঞান পদে ২০১২ সাল থেকে স্কুলে আরো দুইজন শিক্ষক অর্ন্তভুক্ত রয়েছেন। বিএড প্রশিক্ষণ গ্রহণ করায় ২০০৭ সালে আমার নামের পার্শ্বের (সহকারী শিক্ষক ইংরেজি) পদবী উল্লেখ করে বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের নিকট উচ্চতর স্কেল প্রদানের জন্য সুপারিশ করেন প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষা অফিসার।
নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, ৩০০ নম্বরের ইংরেজি নিয়ে সনদ থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক দুর্নীতি করে আমার পদটি শূন্য দেখিয়ে আরো একজন ইংরেজি শিক্ষক স্কুলে নিয়োগ করেছেন। দীর্ঘ ২৫ বছর ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করেও বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের তালিকায় আমার নাম না থাকায় আমি এই বিষয়টি তদন্তপূর্বক সুবিচার চাই।
প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক। এমপিওতে ভুলবশত: তার পদবী সহকারী শিক্ষক ইংরেজি হয়। যা সংশোধনী হয়েছে এবং এনটিআরসি একজন ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগ করেছেন। তবে তার বেতন ভাতা কোনো কিছুতে সমস্যা হবে না।
উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, শিক্ষক নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাসের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ ও যোগদান করেছে নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস সহকারী শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান হিসেবে। এমপিওতে ভুলবশত: তার নাম সহকারী শিক্ষক ইংরেজি হয়েছে। আসলে তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান। যা ২০২১ সালের জনবল কাঠামোতে সংশোধন হয়ে সমাজ বিজ্ঞান পদে নিয়োগপ্রাপ্ত নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাসের নাম অর্ন্তভুক্ত হয়েছে।
মঞ্জুরুল আহসান/দেশবার্তা