সারাদেশের ন্যায় আগামী ১৭ অক্টোবর আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আনারস প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট চন্দন কুমার পাল এর বিপরীতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক একাধারে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবীর রুমান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে ভোট যুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ চেয়ে তিনি নির্বাচন কমিশন ও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসারের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মোটরসাইকেল প্রতীক চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হুমায়ুন কবীর রুমান সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবিতে বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় জেলা শহরের খরমপুর তার নির্বাচনী প্রচারনা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন। এসময় তিনি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মুখে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপিকে বিজয়ী করেত টিআর প্রকল্পের সরকারি অনুদানের আশ্বাস দিয়ে শেরপুর জেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের তার পক্ষে এবং তার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার প্রচারনা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। এছাড়াও হুইপ আতিক এমপি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন এবং নির্বাচনে পক্ষপাত করলে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামবেন বলে তিনি এমনটাই জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামছুন্নাহার কামাল, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বায়েজীদ হাসান, শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর/দেশবার্তা