ঢাকাSunday , 9 October 2022
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইটি বিশ্ব
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলা
  7. চাকরি চাই
  8. পর্যটন
  9. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. লাইফ স্টাইল
  14. শিক্ষাঙ্গন
  15. সাক্ষাৎকার

শেরপুরে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু: হত্যা না আত্মহত্যা!

admin
October 9, 2022 8:02 am
Link Copied!

শেরপুর জেলার শহরের পৌরসভার চকপাঠক মহল্লায় শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে বসতঘরে গলায় ফাঁস লাগানো মো. ওসমান গণি (৮) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এলাকায় ধ্রুম জাল সৃষ্টি হয়েছে। এই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য রয়েছে। মাদ্রাসা ছাত্র মো. ওসমান গণি চকপাঠক মহল্লার মেহেদী হাসান প্রিন্সের ছেলে ও নাগপাড়া মহল্লার মারকাজুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর পৌরসভার চকপাঠক মহল্লার বাসিন্দা মেহেদী হাসান প্রিন্স ও মারিয়া ইয়াসমিনের বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে ওসমান গণি নামে এক ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বেশকিছু দিনপর স্বামী মেহেদী হাসান প্রিন্স ও স্ত্রী মারিয়া ইয়াসমিনের মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী মারিয়া ইয়াসমিনকে ডিভোর্স দেয় স্বামী মেহেদী হাসান প্রিন্স। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলছিল। পরে দীর্ঘদিন মামলা চলার পর প্রিন্স রায় পান এবং এফিডেভিট করে তার ছেলে ওসমান গণিকে প্রিন্সের কাছে লালন-পালনের দায়িত্ব দেন বিজ্ঞ আদালত। পরবর্তীতে মেহেদী হাসান প্রিন্স দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর সৎ মা’সহ পরিবারের সবাই ওসমান গণিকে লালন-পালন করে আসছিল। এদিকে মারিয়া ইয়াসমিনেরও অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। প্রিন্সের দ্বিতীয় বিয়ের কিছুদিন পর হঠাৎ তার ছেলে ওসমান গণি টেলিভিশন দেখার আসক্ত হয়ে পড়ে। পরে বাবা মেহেদী হাসান প্রিন্স জেলা শহরের নাগপাড়া মহল্লার মারকাজুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন ছেলে ওসমান গণিকে। অপরদিকে এক সপ্তাহে প্রিন্সের বাবা স্ট্রোক করে মারা যায় এবং মাদ্রাসা থেকে ওসমান গণিকে বাড়িতে নিয়ে আসে প্রিন্স। শনিবার দুপুরে ওসমান গণি ঘরের দরজা বন্ধ করে খেলাধুলা করছিল। এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকতে থাকে। এসময় ঘরের ভিতর থেকে কোন সারা শব্দ না পেয়ে পরিবারের লোকজন জানালা দিয়ে উকি দিয়ে দেখে সে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ফাঁসিতে ঝুলে আছে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এঘটনায় নিহত ওসমান গণির মা মারিয়া ইয়াসমিন বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে, আমি এর বিচার চাই।

এছাড়াও নিহতের মামা উজ্জল মিয়া ও রেজাউল করিম জানান, তাদের ভাগ্নে ওসমান গণিকে তার বাবা, সৎ মা ও তাদের বোন জামাই কৌশলে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে, আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তার বাবা মেহেদী হাসান প্রিন্স বলেন, আমার ছেলে ওসমান গণি সব সময় আদরে থাকতো। আজ দুপুরে ঘরের দরজা বন্ধ করে সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে, এখন আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্যই তার মা ও মামাসহ অন্যরা এসব কথা বলছে।

এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিহত ওসমান গণির লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে নিহতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি পরে জানা যাবে।

হামিদুর/দেশবার্তা

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০