শেরপুর জেলার সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের শেরপুর-জামালপুর সড়কের পার্শ্বে ছয়ঘড়ি পাড়া গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত ঘরের পিছনে জামগাছ থেকে ঝুলন্ত অজ্ঞাত লাশ ৭ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সদর থানার পুলিশ উদ্ধার করে। পরে ওইদিন রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহ সিআইডি পুলিশের ক্রাইমসিন দল লাশের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় ও সনাক্ত করে।
উমর ফারুক ওরফে আজিজুল হক (৫০) কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার বালইকান্দা নামাপাড়া গ্রামের আঃ মোতালেবের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ছয়ঘড়িপাড়া গ্রামের শেরপুর-জামালপুর সড়কের পার্শ্বে একটি পরিত্যাক্ত ঘরের পিছনে জামগাছের ডালে ঝুলন্ত এবং প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে উমর ফারুক ওরফে আজিজুল হকের লাশ গ্রামবাসী দেখতে পেয়ে সদর থানায় খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছিল আহমেদ বাদল, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সুমন মিয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এদিকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় না পাওয়ায় সদর থানার পুলিশ প্রথমে জামালপুর পিবিআই পুলিশ জানালে পিবিআই পুলিশ ফিঙ্গার প্রিন্টের চেষ্টা করে পরিচয় সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। পরে শুক্রবার রাতে সিআইডি পুলিশ ওই অজ্ঞাত লাশের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার নাম ঠিকানাসহ বিস্তারিত পরিচয় খুঁজে পান। পরদিন শনিবার খবর পেয়ে উমর ফারুক ওরফে আজিজুল হকের আত্মীয়-স্বজন শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে গিয়ে উমর ফারুক ওরফে আজিজুল হকের লাশ সনাক্ত করেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উমর ফারুক ওরফে আজিজুল হকের লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হতে পারে। এব্যাপারে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামিদুর/দেশবার্তা