শেরপুর পৌরসভার বাগরাকসা মহল্লার সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল এর ছেলে জুনায়েদ সিদ্দিক হাসিব। সে জেলা শহরের একটি স্কুলে পড়েন। শুক্রবার তাদের বাসা থেকে জুনায়েদ সিদ্দিক হাসিব এর ব্যবহৃত একটি সাইকেলটি চুরি হয়। এ থেকে প্রতিকার পেতে জুনায়েদ সিদ্দিক হাসিব যায় শেরপুর সদর থানায়। সেখানে গিয়ে পুলিশের কাছে সাইকেল চুরির বিষয়টি জানায়। হাসিব এতটাই সংক্ষুব্ধ ছিল যে, সাইকেল না নিয়ে কোনো ভাবেই থানা ছাড়তে চায়নি। সঙ্গে আসা মাকে নিয়ে থানাতেই অবস্থান নেয় স্কুলছাত্র হাসিব। বিষয়টি তার মা জানান সেনাসদস্য স্বামী জাহাঙ্গীর আলম জুয়েলকে। বর্তমানে কাতারে মিশনে থাকা তার বাবা বিষয়টি বুঝতে পেরে কল করেন শেরপুর জেলা পুলিশের নতুন সংযোজন ‘টক টু এসপি’তে। শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান বিপিএম এর সংযোজন হটলাইন।
তিনি বিষয়টি নিয়ে জুনায়েদ সিদ্দিক হাসিবের সঙ্গে কথা বলে শনিবার তাকে সাইকেল দেওয়ার আশ্বাস দেন। সে কথা শুনে মাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায় জুনায়েদ সিদ্দিক হাসিব। পরে শনিবার দুপুরে (২৪ সেপ্টেম্বর) নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জুনায়েদ সিদ্দিক হাসিবের হাতে নতুন সাইকেল তুলে দেন শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান বিপিএম। শেরপুরের এসপির উপহারের সাইকেল নিয়ে মায়ের সঙ্গে বাড়ী ফিরে স্কুলছাত্র জুনায়েদ সিদ্দিক হাসিব। সে জেলা শহরের এস এম পাবলিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সাইকেলে করে সে নিয়মিত স্কুল ও কোচিংয়ে যাতায়াত করত। এ কারণে বাহনটি পেতে মরিয়া ছিল সে।
এসময় জুনায়েদ সিদ্দিক হাসিবের মা তাসলিমা বেগম শেরপুরের নবাগত এসপির কাছ থেকে উপহারের সাইকেল পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সাইকেল হারিয়ে ভেঙে পড়েছিল তার ছেলে। তার বাবা চাইলেই নতুন সাইকেল কিনে দিতে পারতেন। কিন্তু ছেলের জেদের কারণে তিনি বিদেশ থেকে ফোন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শেরপুরের এসপি তাঁর ছেলেকে নতুন সাইকেলটি উপহার দিয়েছেন।
‘টক টু এসপি’ নামের সেবাটি নিয়ে হাসিবের মা বলেন, ‘নবাগত এসপি এসেই হটলাইন সেবাটি চালু করেছেন। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ খুব সহজেই তাদের যেকোনো সমস্যার কথা সরাসরি তাঁকে (এসপি) বলতে পারছেন। তাতে সমাধানও মিলবে দ্রুত।’
এব্যাপারে শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম বলেন, ‘মানবিক পুলিশ সর্বদা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের প্রতি শিশু জুনায়েদ সিদ্দিক হাসিবের অগাধ বিশ্বাস আমাদের মুগ্ধ করেছে। সাইকেল হারানোর কষ্ট লাঘবে আমরা তাকে এই ছোট উপহারটি দেয়া হয়েছে।
হামিদুর/দেশবার্তা