শেরপুর জেলা শহরের পৌরসভার নবীনগর মহল্লার বাসিন্দা মৃত নবীকুল ইসলামের একমাত্র নাবালক ছেলে রৌদ্র মিয়া (১৭) এর সাড়ে ১৯ শতাংশ জমি ওই নাবালকের দাদী জয়গুণ বিবি, ফুফু শিল্পী বেগম, চাচা মিলন মিয়া ও চাচী স্বপ্না বেগমের বিরুদ্ধে জমি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় শেরপুর জেলা শহরের মাধবপুরস্থ শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী রৌদ্র মিয়া। এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তার দাদা মৃত আঃ গণি মিয়া জীবিত কালে তার নাতি রৌদ্র মিয়াকে বিগত ২০০৬ সালের ৩০ মার্চ বিআরএস খতিয়ান নং- ১৩৫৬, বিআরএস দাগ নং- ১৩৫ এর ২৫ শতাংশ জমির মধ্যে সাড়ে ৬ শতাংশসহ অন্যান্য দাগে মোট সাড়ে ১৯ শতাংশ জমি দলিল মূলে লিখে দেন। এদিকে বিগত বেশ কয়েক বছর পূর্বে নাগপাড়া ও নবীনগর মহল্লার মধ্যে এক সংঘর্ষে রৌদ্র মিয়ার বাবা নবীকুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন এবং মৃত্যুর সময় রৌদ্র মিয়ার বয়স ছিল দেড় বছর এবং সে অনুযায়ী এখন তার বয়স ১৭। তার বাবা নবীকুল ইসলাম হত্যা মামলা আপোষ বাবদ আসামী পক্ষের দেয়া ১৫ লক্ষ টাকাও রৌদ্র মিয়ার দাদী, চাচা ও ফুফু আত্মসাৎ করেছে বলেও সে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ করেছেন।
এতেও ক্ষান্ত থাকেনি দাদী জয়গুণ গংরা, জমি আত্মসাৎ করার জন্য নাবালক নাতি রৌদ্র মিয়ার জন্ম সনদে বয়স বাড়িয়ে তাকে একই মহল্লার মিন্টু মিয়ার ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাবালক কন্যা মোছা. মীম আক্তার জুঁই এর সাথে ১৪/৩/২০২২ইং তারিখে বিয়ে দেন।
অপরদিকে তার দাদীসহ অপরাপররা নাতি রৌদ্র মিয়াকে পাগল বানিয়ে পায়ে বেড়ী দেয়ার অপচেষ্টাও করছেন বলে সে জানায়। দাদী জয়গুণ ও চাচাসহ অপরাপর গংদের অত্যাচারে রৌদ্র মিয়া নানী মাহফুজার বাড়ীতে আশ্রয় নিলে সেখানেও গিয়ে তারা বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করছে। এসব ঘটনায় নাবালক রৌদ্র মিয়া নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
হামিদুর/দেশবার্তা