শেরপুর জেলার সর্বত্র খাল-বিল, নদী-নালায় বর্ষা মৌসুম থেকে শুরু করে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে অবৈধ মৎস্য শিকারী যেমন- মৎস্যজীবী ও জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছের পোনা নিধন করে চলছে। এতে করে জেলার মৎস্য সম্পদ ঘাটতি হচ্ছে দিন দিন। তাই মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের অভিযান দরকার।
এবছর জেলায় মৎস্য সপ্তাহ পালনকালে মৎস্য বিভাগ নিষিদ্ধ জাল বন্ধে ২/১টা অভিযান পরিচালনা করলেও তা কাংখিত অভিযান না হওয়ায় মৎস্যজীবী ও জেলেরা নির্বিচারে এসব নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জেলার খাল-বিল, নদী-নালায় দেশী মাছ ধরা অব্যাহত রেখেছে। এক সময় এ জেলায় বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছে ভরপুর ছিল। বর্তমানে দেশীয় মাছ একে বারেই নেই বললেই চলে।
এর কারণ হলো মৎস্যজীবী ও জেলেরা নিষিদ্ধ জাল দিয়ে প্রতিনিয়ত দেশী মাছের পোনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাইজের মাছ ধরার কারণে মাছের বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে এবং দেশী মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় জেলায় দেশী মাছের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। জেলেদের নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার বন্ধে পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে জেলার মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সম্ভবপর হবে।
এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে জেলেদের সচেতন করা দরকার রয়েছে বলে সচেতন মহল এমনটাই মনে করে থাকেন। এরপরেও যদি নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারকারীরা সচেতন না হয় তবে এক্ষেত্রে জেলার মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।