শেরপুর পৌরসভার গৃদ্দানারায়ণপুর মহল্লায় নাসরিন আক্তার (৩২) নামে ছেলের সাথে অভিমান করে ফ্যানের হুকের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে আত্মাহত্যা করেছে।
নাসরিন আক্তার মৃত পরিবহন শ্রমিক বাবুর স্ত্রী ছিলেন। নাসরিন আক্তার শ্বশুর বাড়ী ঢাকার বিক্রমপুর এবং তার বাবার বাড়ী শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলার পৌরসভার গৃদ্দানারায়ণপুর মহল্লার কাজলের বাসায় নাসরিন আক্তার দুই বছর ধরে তার দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বড় ছেলে নাফিজ (১২) নবারুণ পাবলিক স্কুলের ৫ম শ্রেণিতে পড়ে এবং ছোট ছেলে নাবিল (৮) ইকরা মাদ্রাসায় নার্সারীতে পড়ে। ২০২০ সালে তার স্বামী বাবু ঢাকা-শেরপুর সড়কে চলাচলরত শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের বাসে চাকুরি করা অবস্থায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর তারা এখানে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। শনিবার সে তার ছেলের সাথে অভিমান করে ঘরের দরজা বন্ধ করে ছেলেকে বাইরে রেখে ফ্যানের হুকের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তার বড় ছেলে নাফিজ জানায়, প্রতিদিন আমি বাইরে খেলতে গেলে মা বকাবকি করতো। এক পর্যায়ে মা আমার সাথে রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে বলতে থাকে আমি গলায় ফাঁস দিয়ে মরে যাবো। তখন আমি দরজা ধাক্কিয়ে মার কাছে মাফ চাই, আর কোন দিন বাইরে যাবো না। দরজা না খোলার এক পর্যায়ে জানালার পাশে যাই। এসময় দেখি মা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝোলার চেষ্টা করছে। এমন সময় আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে মা ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরে স্থানীয়রা শেরপুর সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে লাশ শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বসির আহমেদ বাদল নিশ্চিত করে বলেন, নাসরিন আক্তারের লাশ ঘরের দরজা বন্ধ অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলে ছিলো। পরে সদর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামিদুর/দেশবার্তা