শেরপুরে ওএমএস ও টিসিবি কার্যক্রমের সমন্বয়ে খোলা বাজারে চাল বিক্রয় উপলক্ষে জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার। এসময় তিনি বলেন, চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রবণতা রোধ করে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠিকে মূল্য সহায়তা দেয়ার জন্য এবং বাজার দর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে সরকার ওএমএস কার্যক্রমে খোলা বাজারে খাদ্য শস্য বিক্রয় করে থাকে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশের ন্যায় শেরপুর জেলায় ওএমএস কার্যক্রমে চাল বিক্রয় শুরু করা হচ্ছে।
এছাড়াও আগামী ১ সেপ্টেম্বর জেলার সকল উপজেলাতে ওএমএস কার্যক্রমে টিসিবি কার্ডধারীগণও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল ক্রয় করতে পারবেন। প্রতিটি টিসিবি ভোক্তা ওএমএস কেন্দ্র থেকে একবারে ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল উত্তোলণ করতে পারবেন। প্রতিজন ভোক্তা মাসে সর্বোচ্চ ২ বারে মোট ১০ কেজি চাল নিতে পারবেন।
জেলায় মোট ১৬টি ওএমএস ডিলার পয়েন্টের মাধ্যমে কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হবে। জেলার সদর পৌরসভার ৫টি, নকলা পৌরসভায় ৩টি, নালিতাবাড়ী পৌরসভায় ৩টি, শ্রীবরদী পৌরসভায় ৩টি এবং ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরে ২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে চাল বিক্রয় করা হবে। কেন্দ্র প্রতি দৈনিক বরাদ্দ ২ মেঃ টন। সে মোতাবেক জেলায় দৈনিক ১৬টি কেন্দ্রে মোট ৩২টি মেঃ টন চাল বিক্রয় করা হবে। শুক্র ও শনিবার এবং অন্যান্য সকল সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত সপ্তাহে ৫ দিন করে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
তিনি আরো বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রয় করা হবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে শেরপুর জেলায় মোট ১১২ জন ডিলারের মাধ্যমে ৬৯ হাজার ৯৩২ জন ভোক্তাকে আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এই তিন মাস ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, বর্তমানে জেলায় সরকারি ধারণ ক্ষমতার সর্বোচ্চ মজুত বিদ্যমান। খাদ্যশস্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক শেরপুর জেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগের সহযোগিতায় দরিদ্র মানুষদের মূল্য সহায়তা প্রদানের সকল কার্যক্রম চলমান রাখবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আল্-ওয়াজিউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহনাজ ফেরদৌস, শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন, সহ-সভাপতি এসএম শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় শেরপুর প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি আছাদুজ্জামান মোরাদ, শেরপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মানিক দত্ত, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিম বাবুল, দেবাশীষ সাহা রায়, সঞ্জিব চন্দ বিল্টুসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর/দেশবার্তা